বনশ্রী রায় দাস
উদযাপন
এত কাছে শ্বাসবায়ুর শীতলতা
পাশটিতে বসি জুতসই,
গল্পগুলো গাছ হলে প্রেমিক হয় মেঘলা
বিকেল।
ধককরে উঠলো ভেতরটা, তোমার চোখে
ব্রহ্মাণ্ডের ছবি, সেই অজান্ত-ইলোরার
ভাষা সুখের কথা বলে।
কালিদাসের পদাবলী উপকথায় হৃদি-ঝোরার
উৎসমুখ।
গ্রীবা তোলে মরুভূমি- জাহাজ,
জলে নৌকো ভাসাতে চেয়ে
পিপাসা প্রণয়ী অরণ্য ভূমি।
খসে পড়া মৃত্যু- পরীর হাঁমুখ গলে
আবার ও নবজেন্মর বৃক্ষ-ধরলো কদম-কুঁড়ি
রক্তাল্পতায় ভোগেন ভাষা- ঈশ্বরী।
দুহিতা
মূহুর্তের সহজ উপমা আঁকলে উছলে পড়ে
নাভিপদ্ম,
অন্ধকারের সুচাগ্র বোধটিও অস্পষ্ট
হয়।
নাড়ি ছেঁড়া আলোর কণা নীড়-বাঁধে জল-শরীরে,
সতর্ক রশি দিয়ে তুলেছি তাকে রক্ত-
গানে।
সে তরঙ্গ আমার । বুকের পালকে উষ্ণতার
ওম্।
আমাকে শেখায় কিভাবে ভালোবাসার নিপুণ
শৈলী উন্মুক্ত করে সারস্বত- অলংকার
অষ্টবসুর আলো, জীবন নক্ষত্র, সেই
স্নেহ-সোহাগ
তরলে ডুবে দিয়ে আমার মুক্তিস্নান!!
নির্বাসন
এই তো বেশ আছি নির্বাসনে
আশ্বিনের মেঘ-স্রোতে ঢেউ ভাঙছে সমুদ্র।
রোদের আলজিভ ছুঁয়ে চিলের উড়ান,
শহুরে ভিড়ে মিশে যাচ্ছে
কালো বিড়ালের চোখ,ক্রমশ
ছমছমে গলিপথের দিকে-----
শোকের কান্নায় কেউ আঁকছেন
পরবর্তী কাব্যগ্রেন্থর প্রচ্ছদ ।
উলঙ্গ শ্যামার চোখের জলে
ভিজে যায় রামপ্রসাদী-বেড়া।