হীরক
বন্দ্যোপাধ্যায়
পদবী থেকে পরিচয়
এখনো পর্যন্ত যা যা অত্যাচার অবিচার
তুমি করেছো হ্যা আমি বলব সেটাও
জানাব ফেসবুক টুইটারে ইনস্টাগ্রামে
আমি যা পারব না অন্য কেউ অন্য কোনোখানে
ঠিক ফাঁস করবে শব্দ নেবে পিছু পিছু
এক থেকে বহু মৃত্যুর ও বলার থাকে
কিছু
দেখা যাক কে তবে দোষী সাব্যস্ত হয়
ফুলের বদলে আগুন নাকি আগুনের বদলে
ফুল
অক্ষর যদি বিলাসিতা হয়
এখন সময় অল্প ভাববার মতো
আর কি আছে কিছু?
মীরজাফরের দেশ মীরকাশিমের দেশ
সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ
এখনো পাখি উড়ে যায়
গাছ থেকে গাছে ফেলে যায় নরম তুলতুলে
পালক,
বালক বালিকার অঙ্কুরোদগম হয়
পথিক পথ হারায় নক্ষত্র আলোয়
তারপর দুমিনিট নীরবতা পালন, শোকপ্রস্তাব
তারপর নিদ্রাহীন হেঁটে যাওয়া
পদবী যেখানে শ্রেষ্ঠ পরিচয়
মিছিল
দুটো রুটি বেশি পাবো বলে
বন্ধুকে খুন করেছি অনায়াসে,
দিন শেষে দানা চায় এই অন্ধকার
গ্রামে কার ও মাথা উপড়ে নেয়
কারো দুলাভাই বদলে যায়
আমি দেখেও দেখিনা
মিছিলে হাটিনা,সভা সমিতি চলতে থাকে
রাত্রির বাতাসে লিখে রাখি
শুধুমাত্র সোজাসাপ্টা খিদে,
যে স্বস্তির জন্যে অপেক্ষা
এক মুঠো ভাতফুল
একসাথে বসে খায় শকুন ও চিল
জানি এতদূর পৌঁছনোর প্রশ্ন ই নেই
তোমার মিছিল..
পোস্টকার্ড সাইজের হাওয়া
আমাকে নিয়ে চলো সেইখানে
যেখানে পোস্টকার্ড সাইজের হাওয়া
বাতাসকে প্রশ্ন করি যদি
এবার কি হবে তবে কাল যারা ডাইনে
আজ
তারা বামে, মাথা কেটে নিয়ে গেছে
পড়ে আছে ধড়
প্রথমে আজান শুরু তারপর সামগান স্বর
আমি তো ভুলিনি কিছুই ইতিহাস ভূগোল
তার
হে সময় হে মহাজ্ঞানী আমার কম্পাস
যত ভাবি ছোট হয়ে আসে পরিধি ,জয়োল্লাস
জানিনা কি জবাব দেবো তার...
মঞ্চ থেকে মঞ্চে উঠে গেছি
কারো কারো তীরে এসে তরী ডুবে যায়
কারো কাছে প্রেম মানে সুচিত্রা সেন
জাদুঘর জুড়ে অসংখ্য ঘড়ি সঞ্জীবনী
দূরে শ্মশানভূমি দুদিকে জ্বলছে
এখন বাতাস ও দু:খকে লুকোচুরি খেলতে
নিয়ে গেছে, এই যে আ্যনড্রয়েড ফোন
গাড়ি বাংলা ঝকমকে নারী
এত যে আলোর ঝলকানি,
ফ্লাই ওভারের উপরের রান ওয়ে দিয়ে
উড়ছে রাজহাঁস
যেভাবে দেখছে চোখ ঝাপসা পথবাতি
জানলায় উকি দেয় মধ্যরাত
তারপর শুধুই দৌড় দৌড়... দৌড়াচ্ছি
নদীর রেলিং ধরে নবান্নের দিকে
আকাদেমীর দিকে নন্দন টু এর দিকে,
বড়োগাছে নাড়া বাধার দিকে,
তারপর আর জানা নেই ...
মঞ্চ থেকে মঞ্চ উঠে গেছি ধর্মে না
জিরাফে না
অধর্মের বক হয়ে রাত্রির মরুতে
নীল মরীচিকায়....