শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

কাকলি মান্না


কাকলি মান্না

সম্পর্করা যেমন হয়

এসে দাঁড়ায় সম্পর্ক গুলো
সার বাঁধা গাছের মত
গায়ে নানা রঙের আস্তীন,
কিছু অপ্রত্যাশিত শব্দের চোরা স্রোত
ঘুর পাক খায় শূন্য ঘর ময়

এক কোমল দীর্ঘশ্বাস পেরিয়ে  এলে
আমরা যত্ন নি অস্তিত্ব রক্ষার

ভিন্ন ভিন্ন মুখোশ এর আড়ালে তীক্ষ্ণ চোখ
খুঁজে চলেছে শেষ সংলাপ ।
কেউই আমরা বাকল ছেড়ে
বেরিয়ে আসতে পারি না ।
নির্বিকার মুখ কিছু প্রশ্ন সরীসৃপের মতন
হিসহিসিয়ে বেরিয়ে আসে ।

জীবনে রূপকথার কোন জায়গা নেই
পূর্ণতা পেতে এক মরুভূমি রুক্ষতা পেরোয়
দৃশ্যমান সম্পর্কের চুলচেরা বিচার ।
যতই তুমি যেতে চাও দূরে
মাধ্যাকর্ষণে ফিরতেই হয়   মাটির কাছে ।

এক  বসন্ত উৎসবের শেষে
 মরা ডালে কচি সম্ভাবনা
মুগ্ধতার  পাঠ শিখিয়ে দেয়
তোমাকে...
আমাকে...
সময়কে...








শব্দের সাথে শব্দের সখ্যতা ভালোথাকা

কিছু অলস যাপন খুঁড়ে চলেছে সময়
টুকরো টুকরো রাস্তা জুড়ে যে কোন দূরত্বকেই মাপা যায়.

সেই সব ভালোথাকার এলোমেলো দিনে
বিছানা গুছিয়ে রাখত স্পর্শ
জানলার পর্দায় আলো আঁধারের লুকোচুরি
পাপোশ যত্নে রাখত ধূলো
টেবিলে বিন্যস্ত অপ্রয়োজনীয় প্রতিটি ক্ষণ
মেপে রাখত সাধের হাতঘড়ি.

পশ্চিমের সেই জানলাটা
বিকেলের মরা রোদ লেগে থাকত হাসির মত.

ভালোথাকা পাহাড়ের  চূড়ায় উঠা নয়
রোদ বৃষ্টি মেখে স্বস্তির হাওয়া  ছোঁয়া.

ভালো রাখাটাই ভালোথাকা
ভালোথাকা কোন রাস্তা নয়
কোন উচ্চতা নয়
আত্মার গভীরে কোন জানালা নয়

এখন বুঝি এতো জীবনের উৎসব
স্রোত ছুঁয়ে ছুঁয়ে ব্যাপ্তির বিশালতায় ভেসে থাকা

ভালোথাকা পরিযায়ী পাখির মত অপেক্ষার পালা






রাস্তা

হাত ধরে কিছুটা পথ
বাকিটা একলা চলা
অস্থির কল্লোল পেরিয়ে সীমাহীন বিস্তার ।

নানা বর্ণে যত্নে সাজাই গৃহস্থালি
মহা মূল্যবান সেই আত্ম উপলব্ধি এক নির্বাসিত দ্বীপ
ক্ষয়ে যায় ব্যাকুলতা
হতাশায় নিঃশব্দে পদস্খলন ।
কুয়াশা ঘেরা সকালে অস্ফুট  রোদের ইঙ্গিত
হৃদয়ের আলপথ জড়িয়ে ধরে প্রত্যয় ।

জনবহুল রাস্তায় চেনা রাস্তা যায় হারিয়ে
আলো কমে এলে ফুরানো কথা ও যত্নে সাজাই আবেশে ।

একে একে ক্ষয়ে যায় ঠিকানা
দিক্ চক্রবালে ব্যাকুলতা পরবাসের