সুব্রত নন্দী
রঙ্গমঞ্চের অভিনয়
রঙ্গমঞ্চে তুমিও!
ভাবের সংসারে চলছে তোমার আড়িপাতা,
মুখের অবয়বে অভ্যেসগত পরিবর্তন,
একই অঙ্গে প্রতিস্থাপিত সম্পর্ক
পরিবর্তনের কলাকৌশল!
আমি দর্শকের আসনে উপবিষ্ট,
আগ্রহের বাধ্যবাধকতাকে নীরবে সংবরণ,
সংবেদনশীল মননে ঝড়ের সীমারেখা খুঁজে
চলেছি –
অন্তত মঞ্চের পর্দাটায় মুক্তির শ্বাস
আসুক।
একদা আলোকিত আমিত্বটা বিচ্ছিন্ন
একাকী,
রুখতে অপারগ রঙ্গশালার পালাবদল।
ব্যাভিচারের সঙ্গোপনে
শিরোনাম ব্যাভিচার!
দায় ও দায়িত্ব এড়াতে পারে না শুধু
নারী,
'কুলটা' নামে সমাজের উচ্ছিষ্ট রক্তমাংসের
নারী!
অনভিপ্রেত মুক্তির শ্বাস লাল আলোর
সঙ্গোপনে,
খাঁচায় বন্দী পাশবিক নির্যাতনের
নবজীবন।
ধারকর্জ নিজের ভগ্নাংশ শরীরের বোবাকান্নায়।
ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভে প্রোথিত নীল
সংসার,
সামাজিক উল্লাসের করতলগত "নষ্টা
মেয়েছেলে"!
ঐচ্ছিক সুখানুভবের যাবতীয় দায়ভার
পরিত্যক্তারই বর্তায় –
নীরবে সামাজিক মানসম্ভ্রম রক্ষার
ধারক বাহক....
থমকে আছে মন
থমকে আছে আকাশ,
থমকে আছে মৃত্যুর ঠিকানা,
কিছু কী বলতে চায়?
জমাট কালো মেঘের আস্তরণে ঢাকা নীরবতার
যন্ত্রণা।
হয়তো ছেড়ে চলে গেছে সামাজিক দায়বদ্ধতার
বন্ধন,
মানিয়ে নেওয়ার সন্ধিক্ষণেও ফ্ল্যাশব্যাক!
স্মৃতি বিজড়িত নাড়ীর বাঁধন কী এত
সহজে আলগা হয়?
নশ্বর দেহে বেঁচে থাকে দায় ও দায়িত্বের
বোঝা –
নৈঃশব্দ্যের আমিত্ববোধ ভেসে বেড়ায়
শূন্যতার কাঠামোতে....