শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

শোভন ব্যানার্জ্জী


শোভন ব্যানার্জ্জী

আব্বুলিশ..

হঠাৎ সময় এসে ছুঁয়ে দিল

আব্বুলিশ বলার সুযোগ পেলাম না,

হঠাৎ খেয়াল হ'ল

আমার অনুভবের অসম্পৃক্ত দ্রবণ

স্রোতস্বিনী হয়ে আমার সামনে

দুহাত বাড়িয়ে অপেক্ষমান,

প্রশ্ন করে ওরা, বিষ্ময়ে, এত মরচে?

আহ্বানে প্রগলভতা, জোয়ার যেন আজ

ঠায় দাঁড়িয়ে রই, পঞ্চমীর রাত

পূর্ণিমা এখনো যে আসেনি..







আঁধার..

বৃথাই এ লেখা, বৃথা আয়োজন

আয়োজন শুধুই উৎসবের, এ নয় আরাধনা,

আরাধনায় প্রয়োজন কি এত আড়ম্বরের!

আড়ম্বরেই দিকভ্রষ্ট মন, মিথ্যে সান্ত্বনা,

সান্ত্বনার ঠাঁই প্রদীপের নীচে, রোজ অমাবস্যার আঁধারে

আঁধার ঘুচবে, অন্তরে জ্বেলো আলো, নইলে নৈবেদ্য বৃথা..








অন্তারম্ভ..

তুমি প্রায়ই বলো, তোমার নাকি মনে পড়ে

পড়ে মনে আমায়, ঐ মেঠো রাস্তায়,

রাস্তার পাশে যে পুরনো গাছটা, কত ডালপালা

ডালপালার ছায়ায় হয়ত অনেক পথিক বিশ্রাম নিয়েছে

নিয়েছে কিছু ঠান্ডা শ্বাস, জীবনে এগিয়ে চলার পথে

পথ এখনো পড়ে আছে পায়ে, অনেক বাঁকের মোড়ে

মোড়ের পাশে হয়ত তুমি দেখবে আজ কিছু ঝরা পাতা

পাতা গুলো হয়ত আজ আর নেই সেই গাছের ডালে,

ডাল গুলো সব কেমন খালি, অনেক তো ঝড় ঝঞ্ঝা

ঝঞ্ঝা গেছে অনেক, আজ হয়ত শূন্য সেই মহীরুহ

মহীরুহ হেরেছে সময়ের কাছে, কালের নিয়মে,

নিয়ম করে তবুও পুরনো স্মৃতি রোমন্থনে তুমি যেও

যেও তুমি আবারও ঐ মেঠো পথে, কে জানে কবে আসবে অন্ত

অন্ত হ’লে দুঃখ পেয়ো না, অন্ত’র পরই যে আরম্ভ, অন্তারম্ভে আমায় পাবে তুমি..







নীলাম্বরী..

আজ ও যাই আমি জানো ঐ মোড়ের বাঁকে যদি দেখা পাই

পাই যদি তোমার দেখা একবার, যে পথে প্রথম দেখা

দেখা এক নীলাম্বরীর অকস্মাৎ, অকারণ,

অকারণ হাতছানি তোমার কেন আজ ও, কেন এ উচাটন

উচাটন এই, ভালো হ’ত যদি তোমার সাথেই শেষ হ’ত

হ’ত অতীত না হয় একবার অতীত টা, ভালোবেসে স্মৃতি হয়ে আছে আজ ও..






নিভৃতে..

বল্গাহীন উল্লাসে মেতেছে পড়শী, বন্ধুরা

অসমাপিকা ক্রিয়ায় মত্ত, আদ্যন্ত

দুর্বোধ্য জ্ঞানের আলোয় আলোকিত ওরা,

সময় যেন হঠাৎ থমকে গেছে, আমিও গেছি থমকে

হারিয়ে গেছে রিমোট, গুমোট অন্ধকারে হাতড়ে ফিরি,



নিতান্তই সাদামাটা, আমি এক অনুভূতির কণা,

দূরবীন হাতে খুঁজে চলেছি সহযাত্রী;

জানি, ওরা নিতান্তই ভাবে প্রলাপ,

আজ আর চাই না কাউকে, চাই একটু নিভৃতে

আলাপচারিতা, একান্তে, শুধুই নিজের সাথে..







সংস্পর্শ..

সংস্পর্শের আছে দায় অনেক

কখনো ঘৃতাহুতি স্রোতের অনুকূলে,

কখনো আত্মাহুতি, কালের পরিহাসে,

কখনো বা শুধুই হিমবাহ

এক টুকরো বরফের সংস্পর্শে,

হৃদয়ের অনুভূতির প্রকাশ মহার্ঘ্য..