সুকান্ত
মজুমদার
ছায়াশূন্য
তুমি সেই আজ অবধি নিয়তি
খেয়ালি বসন্তে দ্বিপ্রাহরিক
জ্বালা
শেষপর্যন্তের উদাস উদ্ধৃতি,
বারংবার আগমন সঙ্কটে
কান্না মন্দ্রিত গোপন নির্ঝর
হবার
আত্ম নিভৃত প্রয়াস দুঃসহ, যা
অনুমতি হীন স্মৃতি কঠিনে
সমাহিত
আনমনা বাতাসি মন বালিয়াড়ি
সম্পর্কের টুকরো নৃতত্ত্বে প্রেম
ফসিল
পরিচ্ছেদ হীন তুমিতেই নিয়োজিত।
সম্মোহনী
হীন যৌক্তিকরা অরণ্যের
ভৌতিক নির্জনে অশরীরী নৈবেদ্য
তিল বিশ্লেষণ উগরে দিচ্ছে
সম্মোহনী আদিমতা জয়ধ্বনি সহ।
ঝরা সময় শুষ্ক পাতার বক্ষ সুধায়
প্রভাতি আলেয়াতে পথখোজে
অমানবিক দৃষ্টি বিভোর প্রভা
চেনা পথচারীর সম্ভাষণ কুহেলি
সাজে ,
অতিকায় শূণ্যতারা বুকের
চতুষ্কোণে
অন্তর্যামী হবার প্রয়াস
আনুষ্ঠানিক।
উজবুক
অতিকায় জীবন মরনে
সংশোধন আঁকি তুচ্ছসার চয়নে
নিজ ছায়ার ধারঘেসে
মোহিনী ছায়াময় জীঘাংসা স্রোত
দুধারেই সুখ প্লাবন বালিসার দান
অশুভ অন্ধকার চির স্থিরতারি
স্তবগান।
সদা শান্তি সুচারু নুপুর দ্বয়
মূক
বাজে নীরব অশ্রু শ্রাবণী
শুধু হয়ে আছি সয়ে থাকার উজবুক
পাথুরে হৃদয়ে নীতি পারলৌকিক
অসহনীয় লেখনে অনল উৎসুক।
স্পর্শকাতর
যেটুকু তার ছুয়ে যাওয়া
সেই বিভোর গোধূলি দীগন্তে
নিরুৎসাহিত অবিচলিত দৃষ্টি হাওয়া,
ধুলো মাখামাখি চিত্ত মন্থন
হাসি কান্নার দর কষাকষি
সকল চাওয়ার না পাওয়া বিষাদ
দিনভর উন্নাসিক বাতাস,
পরমাদ নব কিশলয়ে অস্থিরতা
ভাবনার নাগাল ছেড়ে আরো গভীরে
লুকায়িত অনুরাগ রঙিন কান্না
আষ্টেপৃষ্ঠে শিমুল পলাশে।
খুনসুটি প্রেম
তাকিয়ে থাকা নীরব
অস্পষ্ট স্বপ্নাক্ষরেরা শীতল
রাতে
দেহঘিরে থাকা খুনসুটি প্রেম,
শুষ্ক বাতাসে আশ্বাস ঢালে
কত রাত আগুন জ্বালা আদরে
সুক্ষ চাওয়ার রঙিন চাদরে
সেই কঠিন মৃত্তিকার যৌবনে।
অসমর্থের যৌক্তিক বীজগুলি
অকাতরে ঘুমিয়ে শব শয্যায়
দৃষ্টি কুয়াশায় ওর নিকট আসা
দিনান্তে পদচিহ্নে আরো গভীর হয় -
শীতল অন্ধকার, রচিত
যন্ত্রণা
কদর্য রম্যরচনায় বিলীন হয়
তবু আস্কারা দেয় কদর্য মোহে।