বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

ঝুমা মল্লিক


ঝুমা মল্লিক

ভালো থেকো মা

আজ মাঘীপূর্নিমা,চাঁদের শরীর জুড়ে মায়া ছড়িয়ে পড়েছে। উঠোনে উপচে পড়ছে ফালি ফালি আলো।অন্ধকার দূরে আজও।
ভীষণ মনে পড়ছে, আজ তোমার কথা।
সবার জন্যে তোমার অক্লান্ত পরিশ্রমের দিন।
নিজের প্রয়োজন টুকু বোঝার দায়
তোমার কোনদিন ছিল না।
সেই সময় গরমের দুপুরে তোমার হাতের তালপাতার বাতাসে ছিল মায়া সুখ।
আমার সব অসুখে তোমার স্নেহ মমতাই ছিল আমার পরম ঔষধ। তারপর কত শীত এসেছে।
তুমি শিখিয়েছো খুঁটিনাটি কত জীবন সুখ।
মানিয়ে নেওয়া মানুষ হতে বলেছিলে।তেমনি তো আমি। জীবনে যে আন্দোলন প্রয়োজন ছিল বলো নি কেন মা?
প্রতিবাদী সুর গুলো কেমন চুপসে যাচ্ছে মা।
তোমার মতো ই মানিয়ে নিচ্ছি কেমন।
তুমি কেমন আছো জানিনা। আমি?
একবার ভালো থাকতে শেখো মা।
ভালো থেকো মা।ভালো থেকো।








বাংলা ভাষা

আজ ও রক্তের দাগ দেখা যায় ওই পথের নুড়ি পাথরে।
মানুষের ভিড়ে বাংলা ভাষার জয়গান ওই দূরে।
শুধুই কি আন্দোলন ছিল?নাকি প্রানপনে ভালোবাসা।
ও আমার" বাংলা ভাষা "আমি তোমায় ভালোবাসি।
দীর্ঘ জীবি হোক বাংলা ভাষা ।
কবির দেওয়াল জুড়ে ,তুমি বেঁচে থেকো বাংলাভাষা ।
নবজাতকের মুখে প্রথম উচ্চারিত শব্দ হোক
বাংলাভাষা।
মেঠো পথের গান হোক বাংলা ভাষায়।
পুরনো বটের পাঁজরে লেখা আছে যে নাম
সে তো বাংলা ভাষায়।
শহর জুড়ে এত যে আন্দোলন,তা তো বাংলা ভাষায়।
রাজনীতির নেতারা ভাষণ দেন আজও বাংলা ভাষায়।
নতুন প্রেমের আজও জন্ম হয় বাংলা ভাষায়।
ভালোবাসি,ভালোবাসি বাংলা ভাষা।
তোমার জন্য ই বাঁচিয়ে রাখবো লাল পলাশের দল








আবার আসিব

ভালো থেকো মা।
তোমার খোকন এবারের ছুটিতে আর ফিরবে না।
তোমাকে কাশ্মীরী শাল উপহার দেব বলেছিলাম।
তা আর হবেনা ,আমি তিনরঙা চাদরে জড়িয়ে আছি।আমার কপালে শীত ঘুম।
আমার খুব গর্ব হচ্ছে মা।ভীষণ গর্ব।
মা আমি পেরেছি দেখো ,ভারত মায়ের জন্য প্রাণ দিয়েছি সহজেই। আমার আর কোন কষ্ট হচ্ছে না। কত কত রক্তাক্ত শরীরের ভিড়ে
মিশে গেছে আমার রক্ত।
তোমরা কী চিনবে?কোন কোন ধর্মের রক্ত নদী বইছে?এ তল্লাশি কি করবে?
মা দেখো,কফিন বন্দী শরীরের মিছিলে আমি,
তোমার কষ্ট হচ্ছে মা?কাঁদবে না মা।
তোমাদের কাঁদতে নেই। আমি ভালো আছি।
তুমি ভালো থেকো মা। আর কপালে শীত ঘুম।
আমার খুব গর্ব হচ্ছে মা।ভীষণ গর্ব।
মা আমি পেরেছি দেখো ,ভারত মায়ের জন্য প্রাণ দিয়েছি সহজেই। আমার আর কোন কষ্ট হচ্ছে না। কত কত রক্তাক্ত শরীরের ভিড়ে
মিশে গেছে আমার রক্ত।
তোমরা কী চিনবে?কোন কোন ধর্মের রক্ত নদী বইছে?এ তল্লাশি কি করবে?
মা দেখো,কফিন বন্দী শরীরের মিছিলে আমি,
তোমার কষ্ট হচ্ছে মা?কাঁদবে না মা।
তোমাদের কাঁদতে নেই। আমি ভালো আছি।
তুমি ভালো থেকো মা। আর ও শক্তিশালী মায়ের জন্ম হোক ।
ভারতমাতার জয়।তোমার জয় ।আমি জয়ী।


.





ভালোবাসা

মেয়েটি তখন ষোল।
দেখতে ছিলনা তেমন ভালো।
কালো চোখে কাজল ছিল না।
চোখে তেমন স্বপ্ন ছিল না।
মুখে কোন ভাষন ছিল না।
হৃদয়ে ঘর ছিল,বর ছিল না।
ভালোবাসা জন্মে ছিল।
দুঃখ পোষা বারান্দা ছিল।
কপাল জুড়ে অভিমান রেখা ছিল।
গোপনে বাসা বেঁধেছিল ব্যাধি।
ভালোবাসার পুরুষ উপহারে দিয়েছিল
অহঙ্কারী অপমান। ধিক্কার ছিল উচ্চস্বরে।
খোঁজ ছিল না ,উপযুক্ত জমি ছিল না।
বোবা মেয়েটির কান্না দামী ছিল না।
না বলা শব্দেরা হারিয়েছিল বাদলা বাতাসে।
তারপর ঝড়ঝঞ্ঝার রাতদিন।
ষোড়শী মেয়েটির ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে।
স্বাদ,রঙ ,গন্ধ,বর্ণনাতে ভালোবাসি উচ্চারিত হয়েছে।
চোখের জলে নামকরণ হয়েছে ____
ভালোবাসা।







হৃদি

হৃদয়ে এক নতুন বীজের জন্ম হয়েছিল,তারপর
সময়ের সাথে সাথে তা চারাগাছ হয়েছে যত্নে।
আজ তা বটবৃক্ষের মতোই দাঁড়িয়ে আছে ।
সবুজ পাতার দলে জন্ম নিয়েছে সবুজ সাথীরা।
হৃদয় মিশেছে কত কত হৃদয়ের সাথে।
"হৃদি "নামক বটবৃক্ষে আশ্রয় পেয়েছে কত কত সমস্যার চারাগাছ , যত্নে।
নতুন নতুন স্বপ্নেরা জলদান করেছে চারাগাছে।
ইচ্ছেরা মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে আকাশে ডানা মেলার অপেক্ষায়।এক নীল আকাশের মায়া।
মানুষ হয়ে মানুষকে ছুঁয়ে থাকার ইচ্ছে "হৃদি "।
মানুষের ভিড়ে মনুষ্যত্ব বাঁচিয়ে রাখার নাম "হৃদি "
সমাজ কে ভালোবাসার নাম "হৃদি "।
মানুষ কে ভালোবাসার নাম "হৃদি"।
"হৃদি " হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে বেঁচে থাকার আর্শীবাদ ।