বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

চয়ন ভৌমিক


চয়ন ভৌমিক

উৎসর্গপত্র

এক-একটা জন্মদিন এক-একটা দরজা...
আর পিছে ফেরা হয় না।

অভ্যাসগত প্রতিবর্তক্রিয়া মতে, ভাণ
বন্ধুর মতো পাশে হাঁটে,
ছিটকিনির তোলার শব্দ
শুনেও যায় না শোনা।

এভাবেই রাস্তা গুটিয়ে ছোটো হয়
বার্বিকিউ নেশন পুড়িয়ে দেয় ডানা ,

এক টুকরো রোদ আর ভাটিয়ালি সুরই জীবন ...

চলেছে সম্মুখ সমরে সব,
সাথে সংসার সমুদ্র ও দুটো মিষ্টি বিড়াল ছানা।







গান

ভরে যাচ্ছে মন।
দুলছে সবাই...

ইথারে ছড়িয়ে পড়ছে সাত-রঙ
পাখির প্রথম সানাই।

সব বিষণ্ণতা ভুল,
সব যোগ নেচে উঠছে তালে

নত মুখ ক্লান্ত পতাকা
দেখো, বাতাসের বেগে ওড়ে

--- আকাশের সমান্তরালে।।









বাউল

এমন রোদ-বসন্তে
কেঁপে ওঠে ঠোঁট।

উদ্দামতা মাখে সর্ষে ক্ষেত।

রং-মাটি-জল রক্তে মিশে যায়...

রাইকিশোর বাঁশি, কবরীবন্ধের রহস্য
জন্ম জন্মান্তরের মায়াবাঁধে ঝড় তোলে নদী-যাত্রায়

ঝুলি ভরে ওঠে

নিশ্বাসে প্রশ্বাসে কত ধুলোগান, ঝুমুর সঙ্গত
শিরা উপশিরা একতারায়।।








রোদ

ফাঁক পেলেই আলো ভরে দেয়।

বীজে বীজে উনুন জ্বালে
সবুজ রান্নাঘর, মা পাতা।

পুরো শীত জুড়ে জানলা বন্ধ জানো!

ভালো লাগে না আর,
আশ্চর্য সকাল উড়ে আসুক রোজ,
পর্দা ঠেলে আসুক উষ্ণতা।।








চোখ

দীঘি ভরা আছে কানায় কানায়।

সন্তর্পণে মেঘ সরাই
ভিজে যায় হাত।

ভাবি যেন শুধু ছায়াটুকু নড়ে
চলকে না পড়ে অমূল্য সঞ্চয়, জলপ্রপাত।

তবুও কখনো ভারী হয় আকাশ,
দু-ফোঁটা পলক বিপ্লব করে

ভেঙে ফেলে সযত্নে রক্ষিত পৃথিবীর ছাত।।