বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

দেবাশিস কোনার


দেবাশিস কোনার

মতান্তর

তুমি ভাবতেই পারো উল্টো দিকের যাত্রী
সতর্ক গণ্ডিকে ভেঙে ফেলার প্রাচীর
বিতর্কেও সাবধানে কথা বলেছি
আর ছাপিয়ে যাচ্ছে সীমানার প্রান্ত
ভুল বোঝাবুঝি ভুলে যাওয়ার কথা এবার
তারা সব ভালো ভালো কথা জানে
যুদ্ধ উন্মাদনা ছাড়া উজ্জ্বলতা নেই একফোঁটা







তেপান্তর

রাত পোহালেই তেপান্তরের মাঠ
খুটখুট শব্দ হলেই ভয়
তবুও ফিসফাস কথা হলেই মনে হয়
কেউ যেন অনুসরণ করছে আমাদের
অনেক দূর থেকে ধ্বনি ভেসে আসে
সাথে অনাদর, কুট ভাষ্য না বুঝেই
আমাদের কুল প্রতিকূল জেগে ওঠে







সমর্পণ

একজন ভালোবেসে লিখে দিলো নম্বর তার মোবাইলের
সে চা খাইয়েছিল, ব্যবসাদার এমন হওয়া উচিৎ
মানুষের সাথে ব্যবহার কেমন করা যায়
সেই সব পরীক্ষা নিরীক্ষা পার করে
এখন যে প্রতিষ্ঠিত

ভালোবাসা মাখা এই গুঢ় রহস্য  ভেদ
কেন করি, তা নিজেই জানি না
চাল কলা সাথে নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখি
মনুষ্য উপকূলে বাস, ম্যান ম্যানেজমেন্ট
জবর খবর হয়ে ওঠবার আগে
একটি সমর্পণ

যে শুধুই অগ্নিবলয়ে থাকে তার জন্য মায়া
কাতরতা ঘিরে পাখিদের ওড়াউড়ি
মাদকতা ভেসে যায় প্রভাতের গানে
প্রভু আমার, প্রিয় আমার সমর্পিত প্রাণে - - -







অনাগরিক

যে গুলি চালায় তাকে  কি বলা যায় ?
বিচারপতির ভাবনা ছিঁড়ে কখনও সে
মানুষ হয়ে উঠতে চায় না, সে উন্মাদ !
তার কল্পনার রাজত্বে শুধু মগজ ধোলাই

যে মরে গেছে, সে কি শুধুই লাশ ?
তার প্রভাত প্রত্যুষ আলো ছায়ার ভেতর
তুমি কি কখনও ছিলে না? হয়তো তোমার
জন্য সে রেখেছিলো ঘৃণা আপন মনে

তার জন্য তুমি তাকে চিরতরে বিদায় জানাবে?
এমনটাও তো হতে পারতো, সে বদলে যেত
তোমার ক্ষোভ যত ছিল এক এক করে
সে নিভিয়ে দিত শীতল প্রলেপে

তোমার এত ধের্য্য  ছিল না, তুমি দ্রুত
বদলা চেয়েছিলে, নাগরিক সমাজের কাছে
দৃষ্টান্ত রেখে দিলে, যে চলে গেল সে গেল
আর তুমি চূড়ান্ত অনাগরিক হলে আজ







আশ্রম

ঝোপঝাড়,আগাছায় ভরা আশ্রমটি আমার
আমি এখানে ছিন্নমূল হয়েই এসেছিলাম
এখন আগাছা হয়েই বসবাস করছি, তবে একা নই

সেই নীলবর্ন শৃগালটির কথা মনে পড়ে ?
তার সুড়ঙ্গগৃহ এই আখেরাতেই- এখানেই সে
আত্মগোপন করে আছে- একপ্রান্তে অনাথ কালকেউটের আস্তানা
শেয়ালের সঙ্গে তার দেখাশোনাই হয় না আদতে
এক সদ্য তরুণ নেউল এই আশ্রম প্রবাসী
মাঝে মাঝেই আমি দেখি সাপে নেউলে
পাশা পাশি বসে দিব্যি গল্পগুজব করছে