তৌহীদা
ইসলাম
অন্য জ্যোৎস্নায়
ঠিক এই মুহূর্ত কাল
এর পর কিছু ভাবব না আর
যে সুখ বিছিয়ে নিয়েছো মুখের আদলে
অন্য চিবুকের ভাজ তার উৎস
দিয়ে গেছে ঈর্ষার নির্মোহ তাপ।
তারপর ফিরেছ যদিও তুমি, মুমূর্ষ
মনোলোকে
সর্বস্বান্ত কেউ ছিল না সেখানে
ভেসে গেছে স্তব্ধতায় ঘর-দুয়ার
নির্বিবাদে বৈরিতায়, অপচয়ে ।
এরপর অবিশ্বাস ফিরে গেছে
পুরাতনী জোছনায়।
স্নানঘরে অভিমান খুলে রাখি
প্রতিদিন।
হাত খোঁপায় গুঁজে দেয়া অপরাধী
ফুল
ভেসে আসে আমাদের ঘাটে ।
অনভ্যাসে ভুলে গেছি
কিছু সন্তাপ মুছে নিও হে দ্যোতনা
আকাশ
কিছু দাগে পালিত্য সময় অব্দি
যতনে স্পর্শ বুলাই ।
বড় আসময়ে মনে পড়ে বর্ষীয়ান সুর,
তার সাথে খুলে যায় লুকোনো
উপত্যকা
এখন কোথা পাই মধুজল, নোনা ঠোঁট???
এই ঘন আবাসিক দ্রোহে
কোন সর্বনাশা লগ্ন আসে নি বলে
অনভ্যাসে ভুলে গেছি প্রেম ও
সমর্পণের দিকে হেঁটে যাওয়া।
শীতার্ত আকুলতা
অন্তর্গত মৌসুমে এখন এবং টানা
কিছুকাল মৌসুমি সুবাস।
যদিও ঘন হিমবাহ তুলে আনে কুয়াশার
ভিতর থেকে
কেঁপে যাওয়া রাত ।
উষ্ণতার নিখোঁজ সময়ের কথা মনে
পড়ে।
স্বপ্নের কারুকাজ এ
কেউ একলা এসে রং দিয়ে গেলে,
কখনও এমন দেখিনি বলে গুলদস্তা
সাজিয়ে
অবুঝ পাতাদের তরে কিছু সময় দিয়ে
যাই।
এরপর ইচ্ছে করে জেনে নিতে -
ভালোবেসে ছিল না কি??
সব আকুলতা জেনে গেল যে।
আমার একটি কথা বাঁশি
জানে
সম্পূর্ণ শব্দহিন হতে
মর্মর ছড়ায়ে চুম্বন আঁকি ঠোঁটে
এটা স্বপ্ন কাল বুঝি জেগে উঠি
যখন
বিরুদ্ধ শিবিরে বাঁশি বাজে
সমীকরণ মিলাতে দেয়ালের সংসারে
আয়নার উল্টো দিকে হাঁটি ।
এ-ঘর ও-ঘর প্রতিদিন
অখন্ড নিয়ম আবাসিক??
বারান্দায় বা খোলা জানালায়
আলো আর রোদের আলিঙ্গন দেখি
দু'টি কথা মনে
এলে
এলোমেলো হই ।
আর এভাবে
আবারো বাঁশি, মনে পড়ে
আর মনে হলেই এ মায়া সংসারে
ভগ্নাংশ হয়ে বসে থাকি
খরস্রোতা আলোতে
অন্ধকারে ।
সরল মিথ্যের মত
এই যে ঘন হয়ে এলো অন্ধকার
এর বাইরে কি আছে ?? খুব কিছু মনে
পড়ে না।
মুক্ত দানা শিশিরের দু’ একটা মিহি
শব্দ
বালিকা বিকেল ,যুগল বেণী,
ফিরা পথে পাওয়া ভাঙ্গা পালক।
বাকি কথা হারিয়ে গেছে
সহজ মিথ্যের মত জীবনের?
অনায়াসে ভুলে যাওয়া যায় এমন
উৎসব সন্ধ্যা শেষে -
পুনরাবৃত্তি নেই জেনেও নিজের
কাছে আসি ।
যে কথা বলি না, তাকে মনে
করার মত
প্রিয় পৃষ্ঠা খুলে দেখে নেই গত
ফাল্গুন
শুকনো স্মৃতি।