বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

রত্নদীপা দে ঘোষ


রত্নদীপা দে ঘোষ

নেশাসমস্ত


এক প্রকার আতর। কমলহীরেও বটে।

ভার্চুয়াল হাসির শব্দ। কান্নার নেশা চিরকিশোরী পরীদের বাড়ি।

নেশার সাথে আমাদের কথা হয় প্রায়। ফুলেশ্বরি তৃষ্ণার হট্ট-নিনাদ আমাদের বাঁশী করে প্রায়ই। চিরন্তন মন-বকুলের কেয়াপাতায় জ্বলে ওঠে জীবন্ত ঝর্ণা।

হৃদিকলম। নৃত্যপরায়ণা নেশার আলোয় কেটে যায় রাত, দিন কাটে চন্দ্রাবতীর ঝাপসায়।

নেশার প্রবল্যে ঘুম হয়না ঠিক মতো। স্বপ্ন শুধু। চইপাখির চশমা জুড়ে। নেশা কি আমাদের হতাশায় ডোবায়?

নেশা আসলে বুঝি এক তুমুল দিঘী। মানুষ নামের পুকুরকে কেবলি খণ্ডকালীন খনিজ অপরাধবোধের কবিতর দিয়ে ভরায়। নেশা হতে পারে মাদকের। নেশা সিগারের...








নেশা ভালবাসা-ছোপছোপ হরিণের। নেশা ধর্ষণের। নেশা আত্মহত্যার ঢেউ খেলানো চুলের। নেশা ফেসবুক নামক সুরমার। নেশা আবার চুপিচুপি শিকারধরার ডাকনামও হতে পারে ..

নেশার প্রভাবেই অপার সবুজবাতির বাংলো। ফাঁদ, ক্রেয়নের দুর্গ। মুখপুস্তিকার তিস্তানদী। অরূপ অপরূপের রহস্যে ঘেরা লয়-বিলয়ের নদীপথ। আমাদের হৃদয়ে ষ্টীমারের জ্যোতি। নেশাই আমাদের পথ দ্যাখায়।

স্পষ্ট দেখিয়ে দেয় বিস্তর প্রেম। মুখর অগ্নুৎপাত। মেঘাস্তের জাল। সেই নেশা যে কী ভয়ংকর তাড়িত করে আমাদের, চোখবন্ধ অবকাশের রুলটানা ইরেজার ...

যেন পঁচিশতলা উচু বারান্দা বিভোর টপকে আমাকের সিঁড়িকে দিচ্ছে ওঠানামার খানসামা ... 








নেশা বলে, দাও ঝাঁপ, ঝাঁপ দাও আমার ভেতরে,

হে চূর্ণরমণী, আমার রমণকে রমণ করো। প্রেমের কোন বয়েস নেই। মৃত্যুর শোণিতে দ্যাখো, অনুভব করো চূড়ান্ত প্লাবন, বিশ্বাস করো আমার বিশ্বাসকে ...

কথা বলো আমার সাথে। কথা দাও আমার কথাগুলিকে নিভিয়ে দেবে না তোমার মোমবাতি। আমি যে তোমার অমোঘ দেশলাইয়ের আনন্দ-আগুন, আমাকে দাও সেঁকতাপ। আমার জড়োয়ায় তৈরি জরিকাজের নেকলেস, তাকে জড়াও তোমার কণ্ঠের আলাদিনে।









তাপের নেশা, মাদকের চাইতেও বেশি ধুরন্ধর। মদিরার চাইতেও বেশি ধূমপান, সাম্পানের চাইতে বেশি তুমুল সর্পবিভ্রম।

কেউ আমার প্রেমে মজে আছে, আমাকেই শুধু চাইতে চাইতে বাসতে বাসতে সে হয়ে পড়ছে তীব্র হ্যালোজেন-বন্দিত ... ভাবতেই কেমন নেশারু হয়ে উঠছে রঙ্গিলা এ-মন, বাতানুকূল আবৃত পানপাতার সদাকুশলরঞ্জনী।

এই অবিরত ফেটে যাওয়া কামনা আর বাসনার বুদবুদ, মুখ তুল্লেই যেন দেখতে পাই বাসুকিফনার শ্যামল...

নেশাজাত আমি, এই নেশা-সমস্ত মুহূর্তে চাইছি... মদির পতঙ্গের মত সে জড়াক আমাকে, আমার শরীরের প্রতিটি করিডরে চলাচল দিক ভার্চুয়াল জিভ। দানা দানা অমৃত আর বিষ, আরও চরমস্তরে জারিত হোক সেক্সচ্যাটের সাদা-পদার্থ।

সত্যি করে বল তো, এই নেশা কি চরমতর নেশাজনিত পাইপগান নয়? এই নেশা বুঝি পর্নোগ্রাফির গ্রাফাইট নয়?








নেশা মিছিলের হতে পারে। নেশা রাজনীতির হতে পারে। নেশা হতে পারে আত্মরচনার।

মুখোশপরাও কিন্তু এক ধরণের নেশাই। কাউকে বুঝতে দিচ্ছিনা, আমি আসলে এক প্রবল জুডোবিদ, ক্যারাটে নির্মিত। সামনে দেখাচ্ছি, আমি এক সামান্য লুডো, এখনো ছক্কা আর পাঞ্জার কুচকাওয়াজ শিখে উঠতে পারিনি।

দেখে মনে হচ্ছে আমি বুঝি এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিক, ভালবাসা ছাড়া আমি আর দ্বিতীয় কোন নির্মাণ শিখিনি। অথচ আমার মনের শিরদাঁড়ায়, আমার চোখের বারোদুয়ারের সবার আড়ালে তৈরি হচ্ছে তুমুল চক্রান্ত

হিংসার হিসহিস আর ছোবলের ভাস্কোদাগামা।