মঞ্জিমা
গাঙ্গুলী
ঘুমজামা
সবারই কমবেশী একটা ঘুমজামা থাকে
অন্তত থাকা উচিত
যেটা গলিয়ে বা যাকে গলিয়ে গায়ে
নিশ্চিন্তে বুকের মধ্যে ঘুম আসে।
সবুজ অন্ধকার আর নীল ঠান্ডা
একজোটে খেয়ে নিতে পারে মানুষ।
ধুকপুক বুকে পায়রার খোপগুলো
ঘুমিয়ে যেতে পারে
বিড়ালের ভয় ছাড়াই।
আলাদীনের প্রথম সন্তান
নির্বিবাদে মেনে নিতে না পারায়
দীপ জ্বলা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে
দিয়েছিল
দিগন্তের পক্ষ দুই।
আগুন বুকে জড়িয়ে চিৎকার করে
উঠেছে
লাশপোড়া গন্ধ
ঘষতে ঘষতে ছবির মতো সরে গেছে
গঙ্গায়
চুপচাপ তারিফ শুনেছে শত্রুর
তারপর একদিন হা হা হা করে গিলে
খেয়ে
সারা নর্দমা
আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালেন
আলাদীনের প্রথম সন্তান।
অকাল ফুল
কাল থেকে লোকাল ট্রেন কুয়াশা
ঘেরা
মাঝখানে শুধু মধ্যাহ্ন বিরতি
খুঁজতে বেরোবে অরণ্য নক্ষত্র
স্পষ্ট
কনেদেখা কষা আলোয়
রান্না হবে অনেক রকম
ছাইপাশ গিলবে কিছু লোক
যাদের ভদ্রলোকের মতো দেখতে
একটা মেয়ে দাঁত কামড়ে ছাদে উঠে
খুলে দেবে শাড়ি
শাড়িটা গিয়ে পড়বে পাশের মেসবাড়ি
রেলিং এর উপর উঠে খুলবে ব্লাউজের
হুক
খুলবে এক এক করে সর্বস্ব
নিচে পাড়া প্রতিবেশীর ঢল
মেয়েটার আজ পাকাদেখা।
নিশীথিনী সম
অধিকার বোধ আর বোধের অধিকার
বোধো কাকে বলে?
ভন্ড সেই লোকগুলোকে চেনো
যারা রূপকথা বেচবে বলে বিকার
বেচে?
চেনো নাকি অন্য কারো বিছানায়
শোয়া চান
তাহলে তো তুমি পৃথিবীর প্রাচীনতম
প্রেমিকদের চেনো।
আসো আলো দিলরুবায়
ঘন্টি বাজছে হাসি বেশরম
নিরক্ত মুখে আঙুর শুষে মদ খাও
গমগমে সব উজান ভাটি মেদ
সাদা দিলরুবা
পা কোমর মাথা সব আগুনসেঁকা
দানাশস্য
গান বাজছে
আসলে এসব গান না
অতীতের ইতিহাস বই গুলো ছিটিয়ে
থাকা
দেওয়ালে দেওয়ালে হেলান দিতে পারে
সুর বেসুর টাটকা লাল রং গেলাস
মদিরা মুখে সবই প্রহরা দিলরুবা।