হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
কিছু পুড়ছে
কী পুড়ছে ------ জানি না। কেন পুড়ছে ------ জানি না। কারা
পোড়াচ্ছে বললেই আমি বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে পড়ি। এমন একটা ভাব নিয়ে আমার মুখে খুব
যত্ন করে ছবি আঁকি যেন কোথাও কিছু হয় নি। আলো নিভে গেছে বলে ক'টা বাচ্চা
ছেলে সন্ধ্যের মুখে কাগজ জ্বালিয়েছে।
পুজো
সেই যে পুজোর আগের রাতে যারা দুই বুড়ো বুড়ির সঙ্গে খুব
ঝগড়া করে ভোরবেলা কোথায় যেন পালিয়ে গেল,
সদর দরজায় আলোর খরচে মাথায় হাত দিয়ে যারা হঠাৎ আলো নিভিয়ে অন্ধকারে
মিলিয়ে গেল, সূর্য
উঠতে তারা সবাই পুজোর চারদিনে মিশে যাবে বলে ফিরে আসছে।
যারা বলেছিল
যারা তোমার কথা শোনে নি ; তুমি 'প্রাচীন' আর 'গর্তের সাপ' বলে যারা
জানলা বন্ধ করেছিল ---- কি বলবে তাদের ?
কিছু নয়। আমার ছোট্ট ঘরে দু'
চারটে বাসনের আওয়াজ,
কিছু সাধারণ চেঁচামেচি,
সাইকেলের যাতায়াত ...... সব ঠিকঠাক আগের মতোই। নদীতে থেকে যারা নদীর কথা ভুলে
যায় তাদের সাথে খুব ছোটবেলায় একবার কথা বলেছিলাম।
গান থামার পর
গান থেমে যেতেই অন্ধকার নেমে এল। চারপাশ কী ভীষণ ঠাণ্ডা। আর
কী চুপচাপ। এতক্ষণ যারা আমাকে চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের গায়ে এখন একটা মোলায়েম আস্তরণ।
দুপুর
সবাই আলমারিতে কত কিছু সাজায়। আমি দুপুর সাজিয়ে রাখি। কত
রঙের যে দুপুর বলে শেষ করা যাবে না। সব দুপুর, কিন্তু প্রত্যেকটা আলাদা। আজকেও একটা নতুন দুপুর কাটালাম।
রাতের অন্ধকারে তাকেও জায়গা করে দেব। সকলের ভালো নাও লাগতে পারে, কারণ তারা
সবাই খুব চুপচাপ।