কাকলি
মান্না
বাংলাভাষার উত্তরন
ভাষাকে দাও সত্যের স্বাদ
স্বাধীনতা হোক অভ্যাস
ভাষায় দেখ উৎসবের আলো
মননের গভীরে গাঁথ অক্ষরমালা
ভালোবাসা বাংলাভাষা..........
কাঁটা তার হোক রেশমী সুতোর
পাশাপাশি ছুঁয়ে থাকি অভিন্নতায়
আগামীর স্বপ্নে থাকুক
একমুঠো মুক্ত আকাশের
অঙ্গীকার.....
আমার শরীর জোছনা মেখে
মৃদু স্বরে বলে আমি তোকে নিয়ে
বাঁচি
সব "আমি" র এক সুর
ঘুমন্ত রক্তের মধ্যে লুকান
ব্যাকরণে
আমার বাংলা ভাষায় আত্মীকরণ.....
সঞ্চার
প্রতিটা ঘুমিয়ে থাকা শব্দের ভিতর
স্পর্ধিত কামনার রঙীন চিরকুট ।
কাফেটেরিয়ার সিমফনীতে মেতে ওঠা যুবকেরা
একরাশ আগুন রাঙা ফানুস
বন্ধক! যায় মুক্ত আকাশ ।
নীল আলোয় ঝলসে ওঠা সন্ধ্যা
রাগ
চুম্বন চুষে নেয় আগামীর ধারাপাত ।
জীবন এক প্রগাঢ় প্রান্তর মেলে
উদ্ভাস ।
প্রবাসী কেঁদুলীর বাউলের দেখে
বাঁচার স্বাদ ।
এক পৃথিবী অন্বেষণ শেষে প্রজাপতি
জাগে রাতভর
মনের বারান্দায় বেনামী শব্দ ঋণ
ডাকবাক্স অপেক্ষার খাম ।
মায়া
এই যে মেলে রেখেছ অগোছালো
কিছু বোধ, বোধির স্বপ্ন
রাস্তায় এক চলে যাওয়া আঁকা
ছুঁয়ে যায় বিন্দু বিন্দু
আক্ষেপের অপেক্ষা ।
ঘোর লাগা কপাল
স্নেহের আঙুল, দৃষ্টি হলুদ আলো
যেতেই হয় পরবাস ।
অর্ধমৃত,
মৃত আর কিছু শব্দে
মায়ার ঘ্রাণ লেগে থাকে ।
প্রেক্ষাপট
এক মুঠো আলোয় ভর করে অন্ধ রোজ কবিতা দেখে ।
শব্দরা অলঙ্কারে সাজছে.......
শব্দের তীক্ষ্ণ চোখ
সব সরু গলি বড়
রাস্তায়
এসে মিশেছে ।
শীত কাতুরে সেঁকে নিচ্ছে উত্তাপ এর হাত ।
নিভু আঁচে ভাতের গন্ধ ছড়াচ্ছে
ওম
সাঁকোটা স্থবির
জুড়ছে
যাপন ।
প্রেক্ষিত পেরিয়ে
যাচ্ছে
অনুভূতির
যন্ত্রণা
।
শব্দের ঘ্রাণ ছুঁয়েছে কালের সীমা
।
কবিতা সময়ের বৃত্ত প্রেক্ষাপট জুড়ে ।
সঞ্চার
প্রতিটা ঘুমিয়ে থাকা শব্দের ভিতর
স্পর্ধিত কামনার রঙীন চিরকুট ।
কাফেটেরিয়ার সিমফনীতে মেতে ওঠা যুবকেরা
একরাশ আগুন রাঙা ফানুস
বন্ধক! যায় মুক্ত আকাশ ।
নীল আলোয় ঝলসে ওঠা সন্ধ্যা রাগ
চুম্বন চুষে নেয় আগামীর ধারাপাত ।
জীবন এক প্রগাঢ় প্রান্তর মেলে উদ্ভাস
।
প্রবাসী কেঁদুলীর বাউলের দেখে বাঁচার
স্বাদ ।
এক পৃথিবী অন্বেষণ শেষে প্রজাপতি
জাগে রাতভর
মনের বারান্দায় বেনামী শব্দ ঋণ
ডাকবাক্স অপেক্ষার খাম ।
রাধা
এখনও অবশিষ্ট প্রত্যাশা হেঁটে যায় আ সমুদ্র হিমাচল
রাধা নামের মেয়েটি কান্না গুটানো
রুমাল তুলে রাখে দেরাজে .
স্পর্শ মুছে নিতে শব্দরা ঠিকানা খোঁজে
মেঘ জমলেই টুকরো আকাশ জানলা ছোঁয়.
এখনও আবেগের শব্দরূপ উপমা খোঁজে রূপান্তরের
রাধা নামের মেয়েটি ক্লান্তির ঘ্রাণ মোছে স্বীকারোক্তির চাদরে.
নদীর ধারের নির্জনতা জ্যোৎস্না মাখে
একা
রাধা নামের মেয়েটি কবিতাকে কৃষ্ণ বলে ডাকে.
আসলে শব্দরা অলঙ্কারে সাজলে নাম হয় কবিতা.