রমেশ
পালিত
ফেরে না তবু হুঁশ
সব রং মুছে যাবে,সমস্ত স্বপ্ন
মায়ার খেলায় মেতে আছে জীব
দু'দিনের
রঙ্গমঞ্চে কখন যে পড়ে শ্বাস
যায় না তবু 'আমার আমার'আশ
মুহূর্তের বিপর্যয়ে হয়ে যেতে
পারে সব ছারখার!
বিচিত্র এ ধামে বিচিত্র সব মানুষ
হিংসা-দ্বেষ-হানাহানি,রক্তের হোলি
হা হতোস্মি! ফেরে না তবু হুঁশ!
আর নয় দূর
অসূয়া রাখো সুন্দর
বরং বাড়িয়ে দাও বন্ধুত্বের হাত
এসো,অভিমান ভেঙে
প্রণয়প্লাবনে ভাসি
যা-কিছু ক্ষোভ দূরে সরিয়ে রাখি
তানপুরায় সেধে নি নতুন সুর
আর নয় বিচ্ছেদ,দূর
বহুদূর...
আমায় তুমি ক্ষমা করো
মা
যাত্রাপথ হারিয়ে আজ মাত্রা ভাঙি
সচেতনে
শব্দের মায়াজালে জড়িয়ে আছি আজীবন
কীভাবে এসেছি যাবই বা কীভাবে
সবটাই কুয়াশায় ঢাকা
কে যেন চুপিসারে বলে গেল---
যতই লাফালাফি করো সমস্ত কিছুই
মাপা।
মা বলেছিল----
খোকা শত আঘাতেও সত্যকে ছাড়িস না
ভুলেও কাউকে আঘাত করিস না
ভালবাসে বাঁচিস বাবা।
আমায় তুমি ক্ষমা করো মা
বন্ধুর পথ পেরতে গিয়ে পিছলে গেল
পা
আমায় তুমি ক্ষমা করো মা।
শাকচুন্নি স্বপ্ন দেখে
স্রোত ভেঙে যায় স্রোতের ঘায়ে
মন ভেসে যায় মনের টানে
আধেক রাতে শব্দ এসে কথা বলে কানে
কানে।
হৃদয় মাঝে পুলক জাগে
মেঘের পিঠে বর্ষা আসে
মোহিনী আবেশ ঘাসে ঘাসে।
পায়রা ওড়ে বাজি পোড়ে
শাকচুন্নি স্বপ্ন দেখে
একটি ছেলে কলম ছেড়ে কলম লেখে।
আমার বিস্ময়
শিউলির সুবাতাস চামেলির বিশুদ্ধ
ইশারা
ঝিলের স্বচ্ছ জল করে টলমল
এইসব ছন্দের মাঝে খুঁজে পাই
জীবনের দিশা।
সাঁওতালি কালো কন্যা
অভাবের মাঝেও অফুরান প্রাণফোয়ারা
অঙ্গে অঙ্গে প্রাণের বন্যা!
কুমোরের চাকা ঘোরে বনবন
অপার বিস্ময়ে দেখি আমি
রোমাঞ্চিত এতনুমন!