বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

ছায়া 

যখনই ঘরে আসো, তাকাও
 ফিরে পাই বিশ্রাম
       চোখের ছায়ায়

বৃষ্টি বুঝেছে মেঘ
আমি বুঝেছি বিদিশার নিশা
মাটিতে আমার পরম স্থিরতা

ফিরে আসে স্পর্শ
এক একটি কল্প দিন যেন
তারার আলোয় ভীষণ চেনা

এক জোড়া চোখ ইন্দ্রিয় নাসা
ভেতরে আমার একটু বাসা
একটু শয়ন প্রাণবন্ত একটু আশা

নষ্টনীড় নয় তবু পরাহত ভাষা






অভিসার

বুঝেছিল গোপন কথাটি
মোবাইলে ফিসফাস

ব্র্যাকেট থেকে নামালো সার্ট
ট্রাউজারে ক্রিমরং ক্রিজ
কলারে হি ম্যান কেয়ারিং ভাঁজ
রিমলেসে ফ্রেমে সাজালো চোখ

দেখে নিল জুলপির সবুজ
গোঁফে পৌরুষ জমকালো যুব
কথার সপ্রতিভ চৌকস
স্নুকারে মসৃণ গতিবিধি

বাইকে চড়ে রাধাশ্রীর বৃন্দ মথুরায়
সুললিত বেবিডলে চুম্বিত রেখা
সাঁজবাতি হ্যালোজেনে পথের পথে
অভিসার বেজে উঠল আজ যূথরথে







স্বয়ংক্রিয়

লুন্ঠন নেই আমার
        যথাযথ অস্ত্রাগার
যত্নচর্চিত কাঠামোর পেরেকে 
           আমার ঝুলি
লগ্ন পাঁজিপুঁথি সঞ্চয়িতা পুরাণ ভান্ডার

নিজেকেই অবাক করি
নেড়েচেড়ে দেখি তীক্ষ্ণতা, বিষ
নিক্ষেপের আগে

নিজেকেই লুন্ঠন করি প্রথাগত
সবিশেষ ছিঁড়িখুঁড়ি স্নায়ুতন্ত্র

ঈশ্বর মনে হয়,স্বয়ম্ভূ প্রতিরূপ







কীর্তিনাশা

লিখবো না বলেই যখন তখন গুটিয়ে নিচ্ছি বাতাস
ঠিক তখনই তোমার সঙ্গে হঠাৎ দেখা বিদ্যুত ঝলক।
আমার ঝরণা কলম  রক্তবৃষ্টির লেখার সান্ধ্যভাষ।

অনুপ্রেরণা তুলে দিচ্ছে শঙ্খভাষ্য গন্ধবহা কাগজ।
শব্দমন্ত্রে ইহ তিষ্ঠ চলাফেরায় ফেরারী মন শুধু।
নিজে নিজেই বুঝি সফল হওয়া ঢের বাকি আলোর।

লিখছে কলম পাওয়া না পাওয়ার,  সহজ মৃদু পাঠ
তবু কঠিন অঙ্ক হল লেখার অবিশ্বাসে সমুদ্র গর্জন।
ঢেউ তুলবে দেখবে মানুষ বলবে স্মরণকথায় আমি।

লিখবো না আর বলেই যখন থুতনি দিচ্ছে নাড়া,
শ্রীযুক্ত অমুক তমুক স্বপ্ন অাবাদ শূণ্য থেকে শুরু
কাকতালীয় হিপপকেটে লুকিয়ে রাখি চন্দ্রবিন্দু।

ইতি
     বিনীত
                   কীর্তিনাশা








ঝাঁজ

জিভ ছুঁড়ে দিচ্ছে স্বাদ
আগুনে আঁচের গপ্পো
পুড়তে পুড়তে খাক্ ইহজন্ম আমার

চোখ খুঁজে নেবে গোচর
একটা প্রামাণ্য দলিলের আশেপাশে
ছোঁক ছোঁক বিদ্যমান থাকল

এটাই মুলধন,সাহস আর তরবারি
পথে পথে আরো কিছুকাল.......