শৈলেন
চৌনী
প্রেমিকা
১.
আশঙ্কা। সেই বোঝে ভালো পাখিদের
ভাষা,
সান্ধ্য অক্ষর।তোমার নরম
সামঞ্জস্য।
তবু ভালো অন্ধকার,
আলো দিলে ফুটে ওঠে চিতাকাঠ,
শাদা শাদা ভুলের অক্ষর।
কথা আসলে ছুঁয়ে থাকা এক নারী!
২.
তোমার ফোন আসে।
মনে হয়, ভুল করে
ডায়াল করে ফেলেছো আমায়
—এক্ষুণি
কেটে যাবে লাইন!
আমি আহত পাখির ডানা।
ক্রমশ ধীর হয়ে আসে ওড়ার লয়
—নেমে
আসি...
যেন এখানেই ল্যান্ড করবে
কোনো দূরগামী উড়োজাহাজ,
যার ভেতরে কোনো যাত্রী নেই,
আছে শুধু জীর্ণ কঙ্কাল।
তোমার ফোন আসে—বাচ্চা,নরম,
অন্যমনস্ক পাখিটির মতো।
ভাবি, এই বুঝি
উড়ে যাবে
উড়ে যাবে আততায়ী পাখি —
৩.
সামুদ্রিক মাছেদের মতো তুমিও
শিখে গেছো
অমীমাংসিত ঢেউয়ের গোপন স্টান্ট
কৌশল!
আমি পরিযায়ী, নিঃসঙ্গ, শিশু
অভিযাত্রী...
নিঃশব্দ।অন্ধকার ভেদ করে হারিয়ে
যাও তুমি —
রূহ বেয়ে ঝরে যায় জ্যামিতিক
বিষাদ ও সমূহ আশ্বাস!
তোমার ফোন আসে
তোমার মেসেজ আসে
দুঃশব্দ!
দুঃশব্দ!
৪.
আসলে তুমি রাজহাঁস।
আততায়ী,বিচরণ করো
নির্ভীক...
কেননা তুমি এক দক্ষ নাচনী।
কেননা তুমি এক নাচের
স্কুল।শিক্ষিকা।
টেরাকোয় তৈরী তোমার শরীর,
প্রাচীন ভাস্কর্যের ভাঁজে
বিমোহিত রহস্যের বিচূর্ণ
মরীচিকা....
৫.
স্নানের নিয়ম জানো না।
জল থেকে প্রতিবার তুলে নাও শুকনো
শরীর....
ভাবি, এই বিমূর্ত
কান্নাপ্রনালীর ভেতর
একদিন জেগে উঠবে হলুদ মনস্তাপ!
অক্ষরের ভেতর তোমরা
পেখমপোড়া ছাই প্রতিটি পাতা
উল্টিয়ে উল্টিয়ে আনমনে
নিজেকেই আবিস্কার করে চলেছো...
জানুয়ারি এলেই তোমাকে খুঁজবে
কেউ প্রতিটি স্নানদৃশ্যে।
পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পাঠ করবে
কোনো এক পরিযায়ী যুবাপুরুষ...
অথচ পাতা উল্টানোর শব্দে তোমার
ঘনঘোর আপত্তি।