বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

ডানার জিপিএস সমস্যা

আমাদের ডিএনএ মাটি থেকে সূর্য ছুঁয়েছে। তোমার আঙুলের ডগাটুকু ছুঁয়ে লোহিত কণিকার দল দলে দলে সমুদ্রের শ্যাওলা জন্ম পেল। উৎসবের দরজা ঘাড়ে এই এলাম। লাখ লাখ ডাস্টবিন সহযাত্রী আমার। গাছের পাতায় পাতায় উপন্যাস। পাতাদের নিঃসৃত মধুময়লা। বেশ্যার বৈশ্যমন্ত্রে দীক্ষিত দিন আর রাত আমাকে ঘুমখুন গুমখুন দুটোই করেছে। আর উৎসবের ভিতর প্রবেশ মানায় না আমাকে।     








আপেলের চৌম্বকত্ব

 কণায়় কণায় কণাদ শরীর। শিম্পাঞ্জিদের বনে আপেল প্রতারণা। আদিবাসী সোয়েটার মা ও মাসির। তারা লেজামুড়ো চেলিজোড়ে মাছ ভেজে এসেছে চিরকাল।দোষের আরোহ আর অবরোহ জুড়ে জুড়ে পরকীয়া বেণী। দোষারোপ সহস্রবুদ্ধি গড়ে দেয়। করাঞ্জলি দেওয়া নেওয়া করি। পথখোলার এই মাত্র চাবি।








আই.কিউ. রেখাচিত্র

স্বর্গপচা গন্ধের সরণী। ক্যালসিয়াম ভরা চুলের হিংস্র কলোসিয়াম। খালি মাদার টিংচারের ফোঁটায় ঘেরা বাড়ি। বিগত বছরের মস্তিষ্ক দিয়ে মার্বেল মার্বেল খেলা জমছে না আর। ঘাসজলের আই. কিউ. বাড়ে মাথায়। ঘন্টা বাজে ফুসফুসের ভিতরে। পেন্ডুলাম নৈঋতকোণ বরাবর দোলে।লম্বা হয়। ডাইনোসরের ধূসরতা দশ শতাংশ জমি ছাড় দেয় সহজেই। কোনো ইউ. এফ. ও. র সঙ্গে ডাইনোসর কুমারীর দেখা হয়ে যায়।







ডিমচোর খেলা

রোবোট কে ঘিরে রেখেছে প্রজাপতিরা। প্রজাপতির বুটিদার লিঙ্গ একটা গ্ৰহের জন্ম দিচ্ছে। বই এর স্বর্গ শুধু পোষা সারমেয় চেয়েছিল। প্লাংকটন উজাড় করা ডাইনোসর স্তন চায় নি। আমার জন্য বরাদ্দ সারাদিন ডিমচোর ডিমচোর খেলা। জখমি তুলোকে সান্ত্বনা দিয়ে দেখেছি হাসপাতাল ভাঙচুর করে বেরিয়ে যাচ্ছে একদিন।







ধু্ঁকপুঁকমেলা

ঘরের দরজায় দাম কষাকষি করা হৃদয়ের মাংস লেগে আছে। আমার ঝেড়ে ফেলা ময়লা আজকাল আমার গুনগান করে। বইমেলার চাইতে তেজি বন্দুকমেলা। আমরা বুলেট ভেজাতে চেয়েছি পায়রার দুধে। ঘটঘটনা ও জলের পর্যটনে বন্দুকরা পরিযায়ী হয়েছে অনেক বার। ডানার অবাধ্যতায় আটকে যায় বিলপাস। ঝিলপাস। ওরা কলমেও নিরোধ লাগিয়ে রেখেছে। মৃতপাখিরাও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে সামুদ্রিক বিবাহে।