আবদুস
সালাম
চর্চা
কার্পেটের তলায় লুকিয়ে রাখি ক্ষত
বেভুল ভাসানে উচ্ছ্বাস ভেসে যায়
সংলাপের তাঁবুতে চর্চিত হয় অবিশ্বাস্
উলঙ্গ ময়ুর নাচে বিশ্বাসহীন প্রান্তরে
নগ্ন অন্ধকার আহ্বান করে অসফলতা
পায়ের নীচের মাটি সরে যায়
নাট্যমঞ্চে অসহায় আস্ফলনে
ডানা মেলে স্বপ্ন সুন্দরী
সমুদ্রসভ্যতা আছড়ে পড়ে,
ঢেউ ভেঙে যায়
রাতের বাসরে জমে ওঠে মানব জন্মের রসায়ন
ভ্রষ্ট মনিষীরা প্রেমের উৎসব এ মাতে
শরীর জুড়ে আঁকা গোত্র হীন উল্লাস
অলীক ঈশ্বর মুখ থুবড়ে পড়ে
আমার ভাষা
এখনো অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে ঘুরে আসে
রোজ দেখতে পায় দিন বদলের কানামাছি খেলা
পলাশ বনে উঁকি মারে অসমাপ্ত অভিসার
ভাষার আফিম খেয়ে নাচে কৃষক মজুর
ভাটিয়ালীর সুরে পূজা হয় বাঙলা মায়ের
ভাষার সন্তানেরা রোদ জলে ভিজে
ভাষালুটেরা গুলি চালায় নির্বিচারে
আবেগের পাখিরা ডানা ঝাপটায়
রোদ জমা হয় আলোর প্রান্তরে
ভাষার নগ্নডানায় জড়ো হয় অমানবিক -ক্ষত
কুটিল আবর্তে পাক খায় ভ্রষ্ট বিবেক
সারা পৃথিবীর মুখে চুনকালি মাখায়
নিকানো উঠোনে পুঁতে দিচ্ছি ভাষার-
ফনিমনসা
লালন করছি যতনে
ভাষার কাঁটা গাছে নাকি খাদ্য শষ্য ফলে
শতাব্দীর ছায়া
সাবেকি সম্পর্কগুলো ভেঙে চলেছে
প্রতিদিন
শব্দেরা চাইছে ছুটি
বেহিসেবি দিন ভ্রাম্যমাণ ঢেউ
সম্পর্কে র উঠোনে পাহারা দিচ্ছে জ্যোৎসনা
পেঁচাদের উল্লাসে মেতে ওঠে অস্পৃশ্য অভিমান
বানভাসি মরণ জড়ো হয় বিষাদের ঘরে
সংক্রমণ ঢলে পড়ে মহল্লায়
শতাব্দী প্রাচীন ছায়া নামে আমাদেরঘরে
বসন্ত
ফুলেদের সংবিধানে ঢুকে পড়ে প্রেম
উলঙ্গ পৃথিবী হেঁটে আসে সন্যাসীর আখড়ায়
ঋতুরাজ মেলে ধরে বিচিত্র আ্যন্টেনা
ঋতু রাজ মেলে ধরে পেখম
চোখে মুখে আঁকা অজস্র কুমারী চুম্বন
সাপ
একটা জীবন নিয়ে কথা হচ্ছিল সেদিন
রাতের শরীরে আদর মাখা স্বপ্নীল সাপ
বোতল ভরে নিয়েছে কল্পনা নিরোধক ওষুধ
আর ঘুম পাড়ানী গানের বড়ী
রাতের সীমানায় বন্দী হয়ে আছে তারা মাছ
বিবর্ণ মলিন জীবন খোঁজে তৃষ্ণার্ত শিকড়
তরল অভ্যাসে ভেসে যায় গন্তব্য
তীর্থের কাকের মতো বসে আছি অক্ষরের রেকাবি নিয়ে
কাশবনের মাথার উপর ঝুলছে দুঃখ রঙের কুঁড়েঘর
ভালোবাসার উঠোন জুড়ে বাসা বেঁধেছে আদিসাপ ।