শ্রীপর্ণা
গঙ্গোপাধ্যায়
অবতরণ
সূর্যমুখীর
পাপড়িতে তোমার
মুখ ।
দেখতে দেখতে আমার
চোখ
পাখি হয় ।
পাখি উড়ান নেয় ,উড়ান আকাশ
হয়
,
আকাশ মেঘ পায় , মেঘ বৃষ্টি হয় ।
ঝরে পড়ে মাটির ওপর ।
যে মাটি ব্যর্থতা চেনে ,
যে মাটির চেনা খুব ডানা ভেঙে
মুখ থুবড়ে পড়া।
তবুও
নিভে যাবে জেনে
জ্বলে
ওঠে আলো
।
বেলা মরে যাবে জেনে
জানলায়
দোল খায়
হলদে পর্দা ।রোদ মাখে গায় ।
উদ্যত কুঠার জেনে তাও
বেগুনি
ফুলটির লোভে
অচিন
আগাছা
জন্মায় ।
গন্ধ
বাতাসে সন্ধ্যার গন্ধ পাখির পালকে মিশে
ঘরে ফেরার গন্ধ হয়ে যায় ।
আলোকবর্ষ দূরে তারাটির মিহি গন্ধ
ঝুপসি অন্ধকার
গায়ে
মেখে নেয় ।
মধ্যরাতের রক্তজবার গন্ধ
যে মানুষ আক্রান্ত সেই শুধু পায় ।
প্রার্থনা
মৃত মানুষের পাশে গিয়ে একবার নীরবে দাঁড়াও ।
মৃত্যুর গন্ধ নাও , মৃতের অন্ধকার ছায়া নাও
নিজের শরীরে। মনে মনে রক্ত , স্বেদ
অশ্রু ঠেলে ঠেলে ,ছিন্ন মাথার পাশে
একলা দাঁড়াও । রেখে এস ফুল।
কলিঙ্গের রক্তস্রোতে
ভেসে
,
সেও তো রাখল গিয়ে
শান্তির পদ্মটি
তথাগত বুদ্ধের পায় ।
আর যুদ্ধ নয় ।
সকলে বাঁচুক তার নিজস্ব পরমায়ুটুকু ,
বিদ্বেষ যেন মরে যায়।
অপেক্ষা
আমি
অপেক্ষায় আছি
সেই সাদা পায়রাটির ।
যে
ভোরবেলা এসে
বসবে আমার জানলায় ,
আমি তার পায়ে বেঁধে দেব একটি চুম্বন ,
ভালবাসার রক্তগোলাপ ।
সে সেই সুগন্ধি ভালবাসার চিঠি নিয়ে
উড়ে যাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ,
উত্তর থেকে দক্ষিণে ।
আমি আজন্ম অপেক্ষায় আছি।