বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়


শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়
  
অবতরণ

সূর্যমুখীর  পাপড়িতে  তোমার মুখ
দেখতে দেখতে আমার  চোখ পাখি হয়
পাখি উড়ান নেয় ,উড়ান আকাশ  হয় ,
আকাশ মেঘ পায় , মেঘ বৃষ্টি হয়
ঝরে পড়ে মাটির ওপর
যে মাটি ব্যর্থতা চেনে ,
যে মাটির চেনা খুব ডানা ভেঙে
মুখ থুবড়ে পড়া

                          




তবুও

নিভে যাবে জেনে  জ্বলে ওঠে  আলো
বেলা মরে যাবে জেনে  জানলায় দোল খায়
হলদে পর্দা রোদ মাখে গায়
উদ্যত কুঠার জেনে তাও  বেগুনি ফুলটির লোভে
অচিন  আগাছা জন্মায়



                              


গন্ধ

বাতাসে সন্ধ্যার গন্ধ পাখির পালকে মিশে
ঘরে ফেরার গন্ধ হয়ে যায়
আলোকবর্ষ দূরে তারাটির মিহি গন্ধ
ঝুপসি অন্ধকার  গায়ে মেখে নেয়
মধ্যরাতের রক্তজবার গন্ধ
যে মানুষ আক্রান্ত সেই শুধু পায়
               



                       


প্রার্থনা

মৃত মানুষের পাশে গিয়ে একবার নীরবে দাঁড়াও
মৃত্যুর গন্ধ নাও , মৃতের অন্ধকার ছায়া নাও
নিজের শরীরে মনে মনে রক্ত , স্বেদ
অশ্রু ঠেলে ঠেলে ,ছিন্ন মাথার পাশে
একলা দাঁড়াও রেখে এস ফুল
কলিঙ্গের রক্তস্রোতে  ভেসে ,
সেও তো রাখল গিয়ে
শান্তির পদ্মটি
তথাগত বুদ্ধের পায়
আর যুদ্ধ নয়
সকলে বাঁচুক তার নিজস্ব পরমায়ুটুকু ,
বিদ্বেষ যেন মরে যায়

                          





অপেক্ষা

আমি  অপেক্ষায়  আছি সেই সাদা পায়রাটির
যে  ভোরবেলা  এসে বসবে আমার জানলায় , 
আমি তার পায়ে বেঁধে দেব একটি চুম্বন ,
ভালবাসার রক্তগোলাপ
সে সেই সুগন্ধি ভালবাসার চিঠি নিয়ে
উড়ে যাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ,
উত্তর থেকে দক্ষিণে
আমি আজন্ম অপেক্ষায় আছি