নাসির
ওয়াদেন
এবং বসন্তের রাতগুলো
দিনগুলো হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে
একটা কঠিন শব্দে কান ঝালাফালা
শব্দের কোলাহলে জেগে ওঠে শিৎকার
একটু হাসনেহেনার গন্ধে ভাসুক
সম্ভ্রম
রাত্রি এখনও বসন্তের গান শুনছে
ঝরাপাতার দিন শেষ আসন্ন সন্ধ্যায়
কুমারী মাছ হয়ে চমকায় হতাশা
এবং বসন্তের রাতগুলো ক্রমশ
রোমান্স,,,,
বসন্তের দিনরাত শৌখিনতা মেখে
অলস সময়কে তাড়িয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়
ইচ্ছের সহমিলনে অসঃঘাত
নরম জোৎস্নার বরফ স্রোতের
আলিঙ্গনে
আগুন খিদে জ্বলে ওঠে শীতল
বিছানায়
অসহিষ্ণুতার চামড়া দিন দিন ঢোল
হয়ে
গোমড়া বৃষ্টির ছাদে খঞ্জনী বাজায়
আচ্চাবাচ্চা নিয়ে সুখে থাকে
গুষ্টিসুখ
জীবনের ঝলমলে আলোর গন্ধে বুক
ভারী
সুখের দিনগুলোতে ইচ্ছের
অসংগত
বাইরের বৃষ্টি এসে জানালার কাঁচ
ভাঙে
ইচ্ছের সংযত আহ্বান, অসংযত আবেগী,
আবেগে গা ভাসে, মন কীনা
খুঁজছে,,,,,
মুখোশ, এক
আন্তর্জাতিক নাম
সুখ-দুঃখের বলয় থেকে সূর্য ওঠে,,,,,
মৃত্যু উপত্যকা রাত্রির চাইতে
ভীষণ ভয়ংকর
খিদে প্রতিটি পৃথিবীর কাছে বড়ো
হুঙ্কার
আকাশ ক্রমশ শীতল হয়ে যায়
পাখি গান গেয়ে গেয়ে বিষাদ ভুলায়
প্রতীচী প্রাচ্যে তবুও বিসম লড়াই
চলছে
কেউ কেউ মানবতার মুখোশ পরে ঘোরে
মুখোশের আড়ালে এক এক পুঁজি
সুখ দুঃখের ভেতরে অন্য পৃথিবীর
ছায়া দেখছি
আগামী বর্ষপঞ্জীর বর্ণময় মুখে
---
প্রাচীন ঘর
এক একটা ঘর প্রাচীন, আমাদের ঘর
ভাঙা ফণা তুলে দাঁড়িয়ে
সভ্যতার শেষ নিঃশ্বাস ফেলে,,,,
মৃত্যু একটা একটা করে আশ্রয় তৈরি
করে
মৃত্যুর পরোয়ানা বাতাসের
শৃঙ্খলা
হাতের কাছে মুখমণ্ডল, ভাঙা ঘর
সভ্যতার ধারাবাহিক ইস্তাহার
সাঁটানো
ভোরের ধানসেদ্ধ গন্ধ শুঁকতে
ভোরের আলো
কতদিন শুঁকেনি ভালবাসার বাতাস
আসলে পাখির ডাক শুনতে পাচ্ছি না
কানে
শেকড়ে শেকড়ে নতুন ঘরের আস্ফালন
আওয়াজ
আওয়াজ মাঝে মাঝে ভগ্ন বাড়ির
উপকণ্ঠে রোদ পোহাচ্ছে
শিখার জ্বলন্ত তাপ শিহরণ জাগানো
ঢেউ তোলে অন্ধকারে
ক্ষত্রিয়ের পাড়া জুড়ে আওয়াজ তীর
ছুঁড়ে আঘাত করে মানবতাবোধ
মল্লভৃমিতে শেয়াল ধ্বনি ব্যতীত
কোন
নতুন শব্দবন্ধ শব্দ-তীর সুর নেই
নতুন শব্দের আমদানি নেই আওয়াজ
পাড়ায়
তাকে ডাকি আতিথ্যের আদরে
ব্যাধের দীর্ঘ ফলায় জীবন ঝুলে
সর্বদা
ভুখমারি আওয়াজে কী কোন কথা
বলবে ?
তীর্থের কাকের ঠোঁটে আওয়াজ
ফাটলেও
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা করতে কলজে
লাগে
------