জ্যোতির্ময়
মুখার্জি
কথা থেকে কথার দূরত্বে
কী হল? চুপ কেন?
কথা বলবে না আর?
ক্ষতি নেই
নীরবতার ভাষা আমি শিখে নিয়েছি
তুমি অনর্গল কথা বলে যাও যখন
বা, চুপচাপ। কথার চারপাশে।
কথা
থেকে কথার দূরত্বে হাবুডুবু খেতে
খেতে আমি দেখে নিয়েছি
কথারা আদতে ভীষণ একা
নিঃসঙ্গ। অসহায়। দেবতাদের মতো
ওরা শব্দ হয়। শব্দরা কথা
কথা আর শব্দ জুড়ে থাকি ‘আমি’
বা, হয়তো ‘আমি’ মিশিয়ে মিশিয়েই
শব্দগুলোকে আমরা কথা বানিয়ে ফেলি
মশারি
দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা, মশারি
কে টাঙাবে?
কে'ই বা খুলবে?
এই নিয়েই কেটে যায় কিছু সকাল ও রাত
আসলে দাম্পত্য'ও অনেকটা মশারির মতো
একটা আর্টিফিসিয়াল ঘর
যৌথ মেঝে
যার, ছাদ ফুঁড়ে সিলিং ছোঁয়া
যায়
মগ্ন থাকুক মূক
ঘুমিয়ে পড়ল বেমালুম সব ঘুম
আর, আমরা যারা ধরতে শিখেছি
সময়
সূর্যের ভিতর হাত ঢুকিয়ে
বা, সিঁড়ি থেকে দূরে
সেইসব অবশিষ্ট উচ্চারণে
মগ্ন থাকুক মূক
তুমি কি শুধু
ভালোবাসতেই চাও?
মনোমুগ্ধকর মিশে থাকর মতো
একঘেয়ে। ক্লান্তিকর
হতে হতে
গুছিয়ে নিচ্ছো
ডানা জুড়ে ভুল
ভালোবেসেছি ঘৃণা
যা কিছু ভয়ংকর, যা কিছু কুংসিত, যা কিছু ঘৃণিত তাকে কাঙ্ক্ষিত বানাবার অদ্ভুত এক টেনাসিটি ধরা পড়ে আমাদের প্রত্যেকের
আন্তরিকতায়
রেপড্ ভিডিও তাই হিট্ হয়।
এ্যাকসিডেন্টে ছিন্নভিন্ন দেহটা ঘুরতে থাকে মোবাইলে মোবাইলে। জীবন্ত পুড়ে মরা
মেয়েটা বারবার ফিরে ফিরে আসে অসহায় আর্তচিৎকারে। কুকুরগুলোকে পিটিয়ে পিটিয়েও আশা
মেটে না আমাদের
আসলে আমরা ভয় পেতে
ভালোবাসি। আমরা কষ্ট পেতে ভালোবাসি। আমরা ভালোবাসি রক্ত। লকলকে জিঘাংসায়
ভালোবেসেছি ঘৃণা