সুকান্ত
মজুমদার
দূষ্টির শেষ বিন্দুতে
যে আদিম শব্দের শব্দার্থ
সুগভীর
সেখানে প্রতিধ্বনি
স্বপ্নময় জেনেও
আনমনা আমিতে নিশ্চল তুমি
বাঁচানোর আবৃত্তে মৃত্যু
হয়েছ,
বিরাট সংস্রব নমনীয়
বিচার নিয়ে
আনমনা দৃষ্টির শেষ
বিন্দুতেও সম্মিলিত ।
আসলে সেদিন সহাস্য সরলতা
তুমিময় সরলরেখায় দৃষ্টি
আবছা করেছিল,
আত্ম বলিদান স্বপ্নাহত
সগর্বে
বিশ্বাস নিবিড় দুইবাহু
সন্মান চেয়েছিল ।
আলতো সংস্পর্শ রাতজাগা
কুড়িতে
রঙ নিংড়িয়ে ভাষাহীন
বিভোরে রঙ হয়েছিল
দৃষ্টির শেষ বিন্দুতে
আশ্বাস খুজেছিল -
স্ববিরোধী
প্রতি স্পন্দনে বিরাট
স্ববিরোধী প্রেরণা
তিলতিল সাজানো তারা খচিত
বর্তমান
সেই পরিত্যক্ত আমিতে
পরিত্রান খোজে
আংশিক উত্তরীয় জড়িত প্রতি অবসরে
গুমোট ধরা স্পর্ধার
অমানবিক ম্লানতায়।
যেটুকু নিয়ম মেনে বলতে
হয় -
সারা পৃথিবীর আমাকে চাও
আপন ভেবে
কিংবা নিজস্বতা সৃজন করো
অকাতরে
যেখানে আমার অস্পৃশ্য
কান্না ছন্দ সহকারে
আবদারের সারা মন রঙিন
হবার সংকল্পে
মনের পোষণকারী রঙ অন্ধের নির্বাচনে
তোমার ঘরময় গুঞ্জরিত
তুষ্টতার সিংহার।
আশ্রয়
আশ্রয় বিশেষ ঘরের
নোনতা দেয়াল
স্মৃতিকথা ভালোবাসা
ভালোথাকার উপকথা
তোমার আশ্রিত সোহাগী
আগুন
নিভতে দেয়না ভীষণ
শীতকাতুরে তেল বাতিক,
সব শূন্যতা উজাড় করা
আহ্বান
রাতভর শুনি আদিম ও
অনৈতিক
অন্ধকারের ফিসফিসানি
ভাষাহীন কথা,
বেঁচে থাকবার উপত্যকায়
পাথুরে অবৈধতা
বস্ত্রহীন বর্বরতা
গুহাবাসের হিংস্রতা
অঙ্কুরিত অবসাদ সভ্যতার
দালানে
অতি নাটকীয়তার আদলে
চরিত্র লুফছি সব্বাই
সে আমি এবং এই আমিও
সুপ্রাচীন ধারায়।
অপভ্রংশ
আলো ঘরের ছায়া পড়া
আঁধারে
শ্রুতি মধুর আর্তনাদ
সহাস্য উপহাস
শীতল রাতে ছবির মত ভেবে
দেখছি।
সদ্য আঁচল জড়ানো খেলনা
প্রণয়
অনাবৃত শস্যহীন অবয়বে
ধানক্ষেত নয়
আকাশ সংক্ষিপ্ত পরিসরে
তারা গোনা
ধুলোঘাটা আদুরী হাতে
নামলেখে -
আমরা পরিজন কানামাছি
খেলি
জীর্ণ আত্ব সর্বস্বত্ব
মৃদু প্রতিধ্বনিতে
চেতনা ভ্রমর নির্বাসিত
প্রমোদ গহীনে,
ভীন গ্রহের আত্মীয় হয়ে
উস্কে যায়
যুগ সম্ভ্রমের সুউচ্চ
মাস্তুুল আরো একবার
বিকট অপভ্রংশের আলো
দেখায়
তুমি আমি অবিরাম হয়ে
উঠছি
বিভাজ্যতার নিরবিচ্ছিন্ন
সন্তুুষ্টি।
বিজন বিনোদন
তখন যে ছুয়ে যাওয়া মাটি
মন
দশজনে ছুয়ে নেওনা প্রেম
ধন,
রঙিন মনে সাদা ঘুড়ির
সম্প্রীতি
একগাদা হাসি কল্লোলে
সবাই সমান।
ভোর চারটের নামাজে
ঘুমভাঙা
রত্না পিসির সাথে ফুল
জোগাড়ের আগ্রহ
শীতবস্ত্র দীনতায়
জুবায়েদ চাচার
খেজুর রসের সম্পৃক্ত
অনুলিখন।
কুয়াশা ঢাকা একটু
ভালোথাকার মতন
ভুলিয়েছে পরম পাওয়ার
উঞ্চতা
জুগিয়েছে রাতজাগা
সরীসৃপের বাসনা
একাকী চাঁদপুরে জোৎস্না
মাখা রাত
চিনিয়েছে দোহের
বিভাজ্যতা,
পরশ্রীকাতরতা
কলঙ্কের সুভাষিত বিবেধ
রেখা,
নিরস মনে সরস শীতে বিজন
বিনোদনে
শতচ্ছিন্ন নিজেকে দিয়েছি
পশম পোশাক।