শুভাশিস
দাশ
দুঃখ যাপন
আমাদের ফুটপাত জুড়ে
স্বপ্নেরা কাঁদে
বনেদি রাজপথে বৈভবের
উল্লাস
কতদিন পাইনি গরম ভাতের
ঘ্রাণ
অথচ গোলা ভরা ধান এই
অঘ্রাণ!
কতদিন নদী দেখিনি, দেখিনি খোলা আকাশ
যাপনের পরতে পরতে শুধু
দীর্ঘশ্বাস!
তুমিতো আকাশ ছুঁতে পারো
মাটি ছুঁয়ে আমার কাটে
দিন
মধ্যবিত্ত প্রেম রয় কি
অমলিন?
যুদ্ধে যাব
দেখে নিও আমরাও যুদ্ধে
যাব
মাঠ জুড়ে সূর্যের আলো
ছড়ালে
সমস্বরে পাখিরা গাইলে, যাব
আমরা যুদ্ধে যাব।l
ভোরের ভৈরবী আজানের সুরে
মিশে গেলে
আমাকে ডেকে দিও
কৃষ্ণ নাম জপে যে বাউল
একতারা বাজিয়েছিলে
তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা
যুদ্ধে যাবইl
ফিরে এসো
আজন্ম দুঃখকে বুকে নিলে
মাধবী?
ছেনালীপনা আর নষ্ট নারীর
মতো
লালন করলে যুবকের
ভালবাসা
সম্পর্কের কোন সূত্র
ছিলনা,
ছিলো না সুন্দর কোন মন l
লোক দেখানো বাহারি সাজে
সাজিয়েছিলে নিজের গোপন
সজ্জা!
সবটাই ছিল বাহ্যিক আবরণ
আর কেউ জানুক আর না
জানুক
আমি জেনেছি সব তোমার
চোখের ভাষায় মাধব,
ফিরে এসো এখন স্নিগ্ধ
সকাল
স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে
যাবার সময়
শুনতে পাচ্ছো দূরে কোথাও
মোয়াজ্জেম
আজানের সুরে গাইছে ঈশ্বর
সঙ্গীত!
মনে পড়ে
ফুল দীঘি পারে গেলে মনে
পড়ে আমার শৈশব
গাইবান্ধার হেলাল পার্ক
আর আমাদের ইসলামিয়া হাই স্কুলl
বানিয়াদহ নদী দেখে আমার
মনে পড়ে
ঘাঘট নদীর কথা ,যার উত্তাল স্রোতে শৈশব কেটেছে সাঁতারl
আমি এখন জন্মভূমি থেকে
অনেক দূরে
আমাদের জন্মটাই ছিল
শনিগ্রহে
কাঁটাতার, ছিটমহল
আর দলা পাকানো বুকের
মাঝে ঠাকুর বাড়ির মেলা l
এখনও মনে আছে উলফৎ চাচার
কথা
মনে আছে রমেশ ঘোষের রস
মঞ্জুরি
না ,অনেকদিন ওপারে যাইনি
আকাশ দেখে শুধু ভাবি
পাখিরাই একমাত্র সুখী !
একদিন চলে যেতে হবে
মাঝরাতে শব্দের ঘর বাড়ি
ভেঙে যায়
ভেঙে যায় জাগতিক বৈভব
কবিতার কাছে কারা
যেন
নতজানু হয় বলে আমাদের
নিয়ে চলো সাগর দ্বীপেl
মন থেকে দূরে যায় প্রেম, মায়াবী রাত
দূরে যায় যাবতীয় ভাললাগা
কী লাভ বিবাদী হয়ে
ঠিকানা জেনে তো নিয়েইছো
সব ছেড়ে একদিন চলে যেতে
হবেl