রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

জেবুননেসা হেলেন



জেবুননেসা হেলেন

ডুব

ষোল থেকে আঠারোয় নুপুর পায়
মধ্যদুপুর এলোমেলো ডুব দেবে
পুকুর না পেলেও
বাতাস সন্তরণে।

ডুবুরী না হলেও
সবাই এক সময়
ডুব দিতে শিখে যায়।

কেউ কেউ হয়ে ওঠে
পাঁকা ডুব সাঁতারু।
কেউ কেউ ভিরু,
ডাঙ্গায় হাতপা ছোড়ে।

মানবজন্ম ডুব দেয়ার ইচ্ছায়





তীর্থযাত্রায় স্মরণ সভা

কবিতা তো তোমাকে স্নান করিয়েছে
ওরা বলে পূণ্য-স্নান।

কবিতার ভেতর তুমি ডুব দিয়ে ভেসেছো,
 ভিজেছো আর শুকিয়েছো কখনও।

কবিতা মানে না বন্ধকি শর্ত

সারাদেহে এখন উন্মত্ত
কবিতার ঘ্রাণ!





অভিনেত্রী

বেশ ভাল অভিনয় শিখেছি।
সেট নেই,প্রপস নেই
কোনো ক্যামেরা নেই
তবে অগণ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী
আমার চারপাশে।
স্ক্রিপ্ট নেই
মুখস্ত করার জন্য ডায়লগ নেই
এত নেই নেই নেইয়ের মধ্যেও
পারফর্ম করে যাচ্ছি বেশ।

খুব নির্জনে, নিভৃতে
যখন মুখ দেখি আয়নায়
দেখি চোখের নিচে জমেছে অনেক শিশির!

মাঝে মাঝে কি ভুল হয় ডায়লগ?
না ,মনে পড়ে না।
লাইট...অ্যাকশন চেঁচায় না কেউ
বালাই নেই কাট...কাট...কাটের!

বুঝতে পারি, বেশ ভাল অভিনেত্রী হয়েছি নিজেও।





নুড়ি

চিরকুটে মৃত্যু যদি
লিখে পাঠায় মেসেজ,

সে খাম খোলার পর
নাম-যশ সংস্কারে
কী এসে যায়!

প্রথাবিদ্ধ সেদ্ধ কাফনে
মুড়ে জানাজা
কবর বা চিতায়
তিতা মিঠা স্বাদ কি শব পায়?

শূন্যা-শূন্যে বিস্ময়।

বেঁচে থাকা রহস্য জামা গায়।





চর উৎসব

তুমি পলি মাটি হলে
আমি মেঘমুক্ত বিষন্ন দুপুর
আষাঢ় শ্রাবণে অঝোর ধারায়
ধারাপাতে বৃষ্টি নামিয়ে দেবো।

সেতু হওয়ায় যে পাড় ভেঙেছে
নতুন করে পথ খাল গড়ে নিও।

পলির নীচে অদৃশ্য শিলা জমলে
পৃথিবীকে ভূকম্পনে নতুন রূপে জন্ম দিও।

রাতের আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে
সঠিক তারা দেখে পথ চিনে নিও।

যাপনচিত্রের সমীক্ষার কথা বলো না
এখানে লুকানো বিঘ্নিত ধারাপাত।