রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

অরুণকুমার দাস



অরুণকুমার দাস

টিউশন

আমাদের টিউশন শুরুহয় মাঝরাতে
মাঝরাতের অক্ষরেরা সরলরেখায় চলেনা
দু-একটা টার্নিং পয়েন্ট
                               তাকাইনা, হাতবুলাই -

বোধিগাছটির সমূলে জলপ্লাবন
শাড়ী সায়ার চ্যুতি ঘটে,
                               ঘটে রটেনা -

মন্ত্রযাপনের আমরা লাল ঘোড়া তাড়া করে বেড়াই

ঘোড়ার চাল বেঁকে বেঁকে যায়
আমরা থরথর কাঁপি
কম্পন মাত্রা ছাড়ালে ফনাতুলে দাঁড়ান ঈশ্বর
ফনার চারদিকে পৃথিবী ধানক্ষেত গমক্ষেত শষ্যসম্ভাবনা
যেহেতু আমরা টিউশন নিচ্ছিলাম
সরস্বতী স্বয়ং কুচযুগ শোভিতা উজ্জ্বল মাছহয়ে আছেন ----





কোলাজ -১

আমরা মানুষেরা মানুষের জন্য আস্তাবল নির্মান করে
পুরোনো কৈফিয়তের মতন চাষবাস  শেষ করে বোধিতীর্থে যাই

মৃত অজগরের দেশটা হঠাতই সামনে চলে আসে

বাইসাইকেলে চড়ে চলেযাওয়া মানুষেরা মেঘরাজ্যে অদৃশ্য  হতেই
দৃশ্যমান পরমায়ু

নৃপতিগণ কলাচাষের পরের ফাল্গুনে শর্ষেযাপনে আগ্রহী হচ্ছেনা
কোথায় আমার হারানো স্বপ্নে কৈশোর ফীরে এলো

ঘোলাজল ঠেলে উঠে আসা চাঁদকে একটুকরো কাপড় অথবা আশ্রয়
কোনোটাই দিতেপারিনা





কোলাজ -২

যে মুহুর্তে প্রেমেপড়ো
আমি অপরাধী হই - আর একবার  আমার  চারদিকের
আকাশটা খোলনলচে পালটায়
অবিনশ্বর ইচ্ছের তুরুপে

মহাজাগতিকরশ্মিতে ক্ষতচিহ্ন লুকিয়ে বাদামগাছটা উড়ছে
হারানো মাশরুমের ক্ষেত খুঁজতে বেরোনো  ঘোড়াদের পালকে সম্পূর্ণ  নিরামিষ চোখ
অল্প খোদাইচিহ্ন থাকুক,জংঘায়

জলচিহ্নের নীচেয় দাঁড়ানো কলাবাগান মৃতশিল্পী নয়
তারা পৌষের দিকে সরেযাচ্ছে





কোলাজ -৩

হাওয়া ঠিককরেদেয় শব্দের বয়স
এক একটি সময় থাকে বয়স নির্ধারণ করা যায় না
সদ্য হাসিটির মতন সুগন্ধ অনেক দিনের পুরনো রুমালে

যাত্রিচিৎকার মুছে মুছে ট্রেন চলে যায়
ঈশ্বরে বিশ্বাস বেজেওঠে বুকের ভেতর, মন্দিরে -
তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাটি দুলতে থাকে
দুলতে দুলতে ঝরেপড়ে পাকা ফললের মতন

রোদজন্মের আগের কাহিনীতে অনেকগুলো ব্লাকহোল -
চোখের মধ্যে ঢুকেযায় তারা

বসন্ত রাস্তায় চাঁদ উঠলে রাতজেগে বসেথাকি
রাতকে দিন দেখানোর মতন বায়নাটা লালন করি, বুকে ---





কোলাজ -৪

খুলি থেকে বেরোনো বয়সের দাঁত মাংস চিবায়

আলোর বোধগম্য স্বরনী বেয়ে
বাস্প ভর্তি চায়ের বিজ্ঞাপন -
আমরা উত্তরমেরুর কথা ভাবি
ভাবি এই গদ্যজীবন কতখানি অন্ধকার রোপন করে
বরফ হল

ঢালাই রাস্তাটা চলে যাচ্ছে সোজা
গ্রীনরুমের বাগানে যে সব সবজি দরদাম নাকরেই
সোজা রান্নাঘর চিনেছে
কাগজে কলমে তারা বাবা হয়েওঠে

প্রান্তিক চাষির মতন