নাসির
ওয়াদেন
বিরাম বসন্ত
মায়াবী রোদ আমাকে মুগ্ধ
করে
কাঁচা বাতাস ভিজিয়ে দেয়
সরলমন
অধৈর্য্যের স্রোত
বিশ্বাসে ঢালে জল
আমার ভালবাসা
শক্ত করে বাঁধে শৈশবের
দিনগুলো
হিমোষ্ণ বরফ
পূর্বপুরুষকে কী আরাম দিয়েছিল ?
একটুকরো বসন্ত রঙিন
জীবনে
বিরাম আনে --
বুকে ঘুমোয় ভালবাসার নদী
মৃত সাগরেরা চরে বসে রোদ
মাখে
মোহনা ডাকছে
নদীর বুকের ওপর দিয়ে
বসন্ত হেঁটে যাচ্ছে ---
নৈর্ব্যক্তিক বিকেল
হতাশার ক্লান্ত ঘোড়াগুলো
দৌড়ালেও
পিছিয়ে আছে মনের সভ্যতা
নির্মুলিত সময় লাগাম কষে
টানে
চারিদিকে দেনাপাওনার
হাঁকাহাঁকি
ধর্মাধর্মের যাঁতাকল
পিষে মারে
সংসারজলে হাবুডুবু খাওয়া
দিনকে
অহঙ্কারগুলো আমার
চারিদিকে ঘোরে
ঘোরে অন্ধকারের জালে
বিছানো স্রোতে
অন্ধকার কুরুক্ষেত্র
খুঁজে বেড়ায়
গিলে ফেলতে আমার
নৈর্ব্যক্তিক বিকেলগুলো••
শৈশব
কচি ছাইয়ের ভেতরে ঢাকা
আঁকাবাঁকা স্বপ্ন
যুদ্ধের পর যুদ্ধ পেরিয়ে
ধৈর্য্যের বর্ম গায়ে
ঝুলিয়ে
অক্ষরের টিলার উপর বসে
গাইছি হতশ্রী জীবনের
বেঁচে থাকা গান
মানবতা বাঁকানো নদীতে
ভরসন্ধায় জলকেলি খেলে ••••
অসুখের জলে সাঁতার কাটে
আমাদের
সুখী হাঁসগুলো
বিধৌত পায়ে বিন্দু
বিন্দু ঘাম---
অঘ্রাণ-পৌষ সহিষ্ণুতার
শীতল ভূমিতে
নির্জীব সকালের বীজ
পুঁতে
পৌরুষগুলোর চাষ করে
বরাক বুকে নির্বিকার
শৈশব সাঁতার কেটে যাবে
প্রতিচ্ছায়া
কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফোটা
লাল চোখ
আঁকে স্মৃতির অবহেলিত
পাটীগণিত
চোখ ধুয়ে দাও দিনের
আলোতে
বিষন্নতার ছায়া মাখা
কালোতে--
ভালবাসা জানেনা কোনটা
লাভ,কোনটা জেহাদ
এক মিশেল রাতে পেঁচাটা
ডাকে গাছে
চাঁদ না উঠলেও বেহায়া
রাতের বুকে
হিস্ হিস্ শব্দ কামড়ে
ধরে নৈশযৌবন
ফেলে আসা দিনগুলো আছড়ে
পড়ে
কামনার জলে স্মৃতিসাগরের
তীরে •••
নদী ছুটছে, মোহনা গেছে ভুলে আপন বক্ষদেশ
ভালবাসা বোঝেনা
প্রতিচ্ছায়া কিংবা অন্যকিছু•••
রহস্যময়তা
বৃত্তকে একটু ছুঁয়ে দাও
হে বৃদ্ধ ঈশ্বর
ইবলিশ কোথা থেকে ঈশ্বর
হতে যাবে ?
অশ্রদ্ধার ভাপা চারাগাছ
পুঁতে ফেলো
বঞ্চিত হৃদয়ের লাল
ক্ষতের ভেতরে
হতভাগ্য ব্যঞ্জনা
মহাসাগরের বুকে হানুক
আশ্চর্যময়ী রহস্যভেদী
প্রতীক তির
দুইদিকে দুটো পথ,কথার বীজ ছড়িয়ে যায়
ঝুলন্ত স্রোতের
প্রতিকূলে
সাগর বোঝে নদীর সহবাস
অবুঝ মনে ভালবাসা আভাপা
ইলিশ
সত্যে-মিথ্যেয় ঠোকাঠুকি,বাঁচুক সত্যগুলো