রোশনি
ইসলাম
ফেরা
উত্তপ্ত পৃথিবীর বুকে শুয়ে
থাকি।
আদিম মানুষের সঙ্গে এখনকার
মানুষের কত-কত পার্থক্য!
মাটি আর মাটি আনন্দ-বেদনার
ছবি। বিস্তৃত ভূগোল
আকাশ-ছোঁয়া
মর্যাদায় স্বপ্নময় সাধ।
সমুদ্রতীরে
নারকেল গাছ,
পুজোর
ছুটিতে
বাড়ি ফেরার আনন্দে মশগুল।
বাঁধনছিন্ন
লাল-নীল ছাতার নীচে শৈশব
হেঁটে যাচ্ছে। ছুঁয়ে দেখছি।
খেজুরগাছ অক্ষরমালায় সেজে
উঠছে। শীতের ভাপা পিঠের
গন্ধ।
কোনো ব্যারিকেড নেই।
বাঁধনছিন্ন উড়ে যাচ্ছি সেই
রূপকথার দেশে ।
মিশে যাই
জলপ্রপাতের জলে অজানা শিহরণ
নিয়ে
ভেসে যেতে থাকি। বরফ গলে গলে
জল। এই উপত্যকা সবুজ বন্যায়
রবীন্দ্রগান সম্বল। আশায়
আশায়
অবিশ্রাম প্রহরী হয়ে আবর্তিত
বার-বার।
খন্ডিত বেদনা হারিয়ে
আনন্দধারায় মিশে যাই।
রিহার্সাল
সারা সকালবেলা ছাতিম গাছের
তলায়
স্মৃতির ধূসর ধুলো উড়িয়ে বসে
থাকি।
নীরব পৃথিবী সরব হয়ে ওঠে
ধীরে ধীরে।
নাটকের স্ক্রিপ্টটা নিয়ে
বহুক্ষণ
ভাবতে থাকি সেই নীল আকাশের
গান
আর ছায়া ছায়া নাচের
রিহার্সাল চলতে থাকে...
ফ্রেম
ঝলমল আকাশের নীচে
গ্রীষ্মকাল চল্লিশ ডিগ্রি
তাপমাত্রায় ––––
গল্ফ খেলায় মশগুল
একদল যুবকযুবতী।
খেলার ধারা ক্রমাগত চলতে
থাকে
কোয়ার্টার ফাইনাল,
সেমি
ফাইনাল, ফাইনাল
জয় পরাজয় হাসি কান্না
রঙিন জিজ্ঞাসা-ফ্রেম