সুকুমার
চৌধুরী
গিঁট
ছিটগ্রস্ত গিঁটগুলি
কলাদের মতো
ভিজিয়ে দিয়েছি আজ
রক্ত ও রমনে। স্যানেটোরিয়ামের মতো
নিথর ওয়র্কশপ। অদ্ভুত একাকী শুধু
য়ে রকম পরিবৃতি চেয়েছি –সে রকম। শুধু
য়ে রকম পল্বল চেয়েছি –সে রকম। আহ
কতদিন পর এই অদ্বিতীয়
ভুমন্ডলে
থেমে গেল ঘড়ি। আর নির্বীষ ঘোড়ার মতো
ভূতচতুর্দশী
তা রা গ ম ন পা দুখানি
ঠুকে ঠুকে ঠুকে
নার্শিশাশময়
ডাকযোগ
অনুচ্চারটুকু বুঝি। হঠাৎ বৃষ্টির তোড়ে
ডাকটিকিটহীন কাউন্টারের
সজল শূন্যতা্টুকু বুঝি।
বুঝি রাত। পোষ্টাফিসের ঘুম। নিরবতাটুকু।
খাম ও টিকিটের মতো উড়ে
উড়ে নামি। বেপথু পাতার
মতো নামি। নিভৃতি-পাগল। আমাদের
বৃষ্টিভয় অনিবার্য ছিলো।
আজ এই দুর্যোগের রাতে
অফিসফেরৎ
একটু আঁঠার জন্য, খাম ও টিকেট
দু-জনেই বাড়িয়ে দিয়েছি
হাত
অঝোরধারায়
কবি
বিশাল হোয়ে আছে। সবাই দেখি।
ছড়িয়ে আছে সমুদ্যত। দেখি।
কাছে গেলেই ধোঁয়ার মতো
গভীর।
কেমন যেন শূন্য আর
হাত রাখতেই
নেই
সৃষ্টি
আর আমি নতুন কিছু লেখার
জন্য
পুরনো কলম নিয়ে বসি একদিন
ওমনি হলদে ডায়েরির পাতা
কেঁপে ওঠে
আর তিক্ত বমনের মতো তার
বুকে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বিজাতীয় কালি
তার কালো স্বেচ্ছাচার
তুলে ধরে প্রত্নফসিল
যতো পুরাতত্ববিষ
আর দুর্বিনীত আমি, অসন্তোষে
একসময় রক্তময় আঙুল
চেপে ধরি কাগজের কাতর
কোমার্যে
স্টপ প্রেস
স্ক্যান্ডালপ্রবণ ছিলো
পারভিউ।
ভয় ছিলো, অস্বস্তিও
যা ছিলো না তাকেও ভজিয়ে
দেওয়া গূঢ় আবডাল ছিলো, খুব সুচতুর।
দু ঠেকেই ফ্যান্টাসি
যতোটা ছিলো
টেলিকোডে, উনপাঁজুরে সন্ধিপুজোয়
যতটা অগম ছিলো ইরোটিকা
হা লাগাম আলাপচারিতা ছিলো
ক্যাকোফ্যনি ছিলো।
ভাবি, ততোটা ভিগার কেন
আছড়ে পড়েনি
মারাঠি রোদের মতো।
সম্ভাবনা ছিলো, হয়ে ওঠা নিভৃতিতে
অবকাশ ছিলো বিস্তৃতির।
হয়ে যে ওঠেনি
তাতে আমাদেরই ফিলজফি
কখনো সুমেরু কখনো কুমেরু বেয়ে
বুমেরাং জেগে উঠেছিলো।
দীর্ঘতম হিমযুগ চাপা
ছিলো প্রবল পাথরে।
স্ক্যান্ডালপ্রবণ ছিলো
পারভিউ