রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

মিজেন ভূইয়া



মিজেন ভূইয়া

প্রাচীন যোগবিয়োগ
ছায়ায় বসে বসে
সিঁড়িজল ডাকে,
আমি সেইসব ছায়ার নাম রাখি
ঘ্রাণ
  নেই,
দর্শন অভিমুখে জীবনের দৃষ্টি
পাতাগুলি পড়ে থাকে
রোদ লাগে,
মনের আলোহীন মাঠে
একাকীত্ব বাজে,
দেখি সময়হীনতা
টের পাই স্মৃতিসূত্রপাত,
পেন্সিলের আলোকিত দাগে উড়ে যায় দুপুর
নাগরিক অসুখ হয়,
এবং প্রাচীন কিছু যোগবিয়োগ শেষে
ভিন্ন বাতাসে
সুখচিন্তার চিঠি আসে,
হয়তো বদলে যায় মেঘেদের পিপাসার্ত বুক।



সেই পাহাড় সেই সময়

খরচ করবো বলে
এমন আগুনতো আমার নেই
বুকের আকাশটা পালিয়ে যায় চড়ুই পাখির
মতো
বাজতে গিয়েও বাজে না কোন গান
হাওয়া এসে বলে যায় ভিন্ন রকম কথা
উষ্ণ কোন রাত সমুদ্রের মতো জাগে
দেখি বিচ্ছেদ আর স্মৃতিপূর্ণ জীবনের রঙ
প্রতীক্ষায় রৌদ্র উঠে
অনন্তের পথে উজ্জ্বল হতে থাকে হাজার
গাছের ছায়া
শুনতে পাই শৈশবের আধুলি আমাকে ডাকে.....
চোখে চকচক করে জ্যোৎস্না
টের পাই প্রিয় ঋতু গৃহকোণ
নদীতে শব্দ হয় অন্ধকারে মেঘ উড়ে
তবুও
সেই পাহাড় আমি মনে রাখি, সেই সময় আমি মনে রাখি।



প্রাচীন পাথর

এতো পাতা 
এতো শীত
তুমি হাঁটো কি করে
পাখিপ্রিয় মানুষ, পায়ের কাঁটাগুলো ছায়ার মতো ডাকে.....
দু'চোখে নদীর মতো দুপুর, আগুন পোহাতে গেলে
বেলা চলে যায়.....
সরু জলপথ,
জেগে থাকে প্রাচীন পাথর!
নীলাকাশ ঘুরে যায় চশমার কাঁচে
অনেকাংশে একা তুমি শাড়ী পরিহিতা, কাছে এসে
ছুঁই ছুঁই করে পৌষের বিকেল,
তুমি তো জানো না, দু'চোখে জল নিয়ে আমিও
একা। খুব একা.....



অন্য এক চাঁদ

ধরো, কয়েকটি
পাখির মতো আমি খুব একা,
তুমিও বাদাম টিপে টিপে চলে যাচ্ছো নতুন কোন দ্বীপে,
তবুতো চিনে নেয় আমাকে এ যুগের কিছু
শীত,
থেমে থেমে তাকায়
কবেকার কিছু নীল, কুয়াশার পরিধি জুড়ে সন্ধ্যা....
পিছু ডাকে অন্য এক চাঁদ!
নিজেকে নদীমাতৃক মনে হয়, নিজেকে মাছের জাল, কখনো
শাপলা ফুল মনে হয়।



মানুষের পালক

আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে গেছে
একটি গাছ, আমি তার ছায়া হয়ে আছি, হিমশীতল
রাতে আমি তার সুসংবাদ হয়ে আছি, টাকাহীন
মানুষের ছায়া জল থেকে জলে, মাটি থেকে মাটিতে
এভাবেই অমর হয়ে যায়।
সময় চলতে থাকে,
মাথার ভিতরে জ্বলে কাঙ্ক্ষিত ফুলের কাল, চোখের
নবজীবন; তবু আমি বিকেলের মাঠ নিয়ে হেঁটে যাই
শিশুদের খেলাধুলা হয়ে ফিরে আসি, টের পাই, সেইসব
ফেরার দৃশ্যে জ্বলে আগুন, আর,
মানুষের পালক পুড়ে যায়।