রীনা
তালুকদার
শীত
শীতের তোড় জোড় যতোই থাক
চাইনে কোনো শীতের হাহাকার
লুকিয়ে থাক শামুকের খোলসে শীত
চাই বুকের ওমে আগুন বাক্
যে থাকে থাক নির্বোধ নির্বিকার
শ্বাস থাকলে গেয়ে যাব জীবন গীত।
শীত পদ্য
শীতের দিনে চিতই পিঠা
অন্য রকম স্বাদে
যতো খুশী যাবে খাওয়া
বাধ কেউ না সাধে।
হরেক মজার ভর্তা সাথে
সর্ষে কালিজিরা
রুচিহীনের খাবার পরে
মুখে রুচি ফিরা
শীতের লেপে মুড়ি দিয়ে
চিতই পিঠা ভিজে
রসের বুকে ডুবে থাকে
খেতে মজা কী যে
বাংলার রূপে শীতের ঋতু
খেজুর রসের রসে
সকাল বেলা সূর্যের মুখে
রোদে তাপে বসে
কারো কারো শীতে ভালো
ভ্রমণে যায় দূরে
গরীব লোকের কষ্ট বাড়ে
শীতের অন্তপুরে।
হাড় হিমে
হা-অন্ন শীতের দাপুটে হাওয়া
গিলে খেতে চায় ইলেকট্রনের উষ্ণতা
দুচারটে বাহারী সোয়েটার, গ্রীবা ঢাকা মাপলার
মাস্ক, শক্স, হাত-পা আবৃত করাকেও
হামবড়া শীত পাত্তা দিচ্ছে না
হিটারের ব্যবস্থাও বেগতিক
বেথুয়ার লিক লিকে উদোম গায়ে
উচ্ছংখল বাতাসের দাপট
রিব গুলো শিহরণে হরণ করে
ফসফরাসের জলীয় তাপ
তাপের তোড়ে অপার শীতে
একটা কিছু আঁকড়ে ধরে
অবলম্বন খোঁজা নয়তো পাপ
শীতের ঘরে ছাদ নেই
কাঁথা কম্বল বাদ নেই
হামলা হিমের রহস্য মামলায়
কী থেকে কী সামলায়
শিশির ভরা গামলায়
বৃক্ষ জড়ানো পাতা লতা
শীত আছে সত্য কথা
কেউ দেখুক না ছাই আহা মরি
না দেখুক থোড়াই কেয়ার করি
উদ্দীপক পাঁজরের মায়াবী উচ্ছাসই পারে
হাড় কাঁপানো শীতকে বিদায় জানাতে।
মিঠে শীত
নেই এখন গরমে
কাল শীতকাল চরমে
পুলি পিঠা নরমে
লেপটেপ কাঁথা মানে না
শীতটা বয়স জানে না
আলস্যে মন টানে না
বেশী শীতে রুম হিটার
মন সুখে বাজাও গীটার
ঝরঝরে থাকো পিটার
খাবার দাবার টাটকা
সাথে পাওয়া যায় জাটকা
দেখলে পুলিশে আটকা
শাক সবজি খুবই স্বাদ
যত খাবে নেইতো বাধ
রোদতাপ আরাম উঠলে ছাদ
বিকালের চিতই পিঠা
মুড়ির সাথে গুড় ছিটা
শীতে শীতহীন সব মিঠা।
শীতার্ত উষ্ণতা
এখন কনকনে আহ! শীত
রূপোলী কুয়াশা সাথে ঝরে
নিশ্চুপ গাছের কচি কচি পাতা
খস খসে আশরীর
আঁকা বাঁকা কঙ্কালের ভিতে
মাংসল ভোতা শিরে চর্মের ছাতা।
রাতের হিম বায় চৌদিক
ধোঁয়া ধোঁয়ায় বাড়ে তুষার
ঘর দোরে আড়ষ্ট ঘুমে জনতা
কামাগ্র জিভে কাঁপুনি
প্রয়োজন অন্য কিছু
দেহ জুড়ে বাড়ে আকুলতা
হরিণ চুপসে হয়েছে বেদিশা
গীত শোনে সে শীতার্ত সময়ের
বাড়ন্ত যৌবনে চায় যে উষ্ণতা
এমন শীতে সবাই চায়
নষ্ট মনে শুভ্র আচ্ছন্ন চাওয়া
শীত তবু বাড়ায় পঙতি অলসতা।
সংক্ষিপ্ত পরিচিত : নব্বই
দশকের কবি, গবেষক। সাবেক ছাত্রনেতা
(ছাত্রলীগ)। সভাপতি- বঙ্গবন্ধু
বিজ্ঞান কবিতা পরিষদ। সহ-সভাপতি,
(তথ্য
ও প্রযুক্তি)- অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন। বিভাগীয় সম্পাদক-অনুপ্রাস সাহিত্য পাতা দৈনিক
নব অভিযান। বাবা -মো: আবদুল করিম। মাতা- আনোয়ারা বেগম। পড়াশুনা- এম.এ। জন্ম -২১ আগস্ট, ১৯৭৩, জেলা-লক্ষ্মীপুর, বাংলাদেশ। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-
১৩টি, গবেষণা প্রবন্ধ-২টি
(বিজ্ঞান কবিতার ভাবনা ও কাব্য কথায় ইলিশ), সম্পাদনা কাব্যগ্রন্থ-১টি, জাগ্রত ছোট কাগজের সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদনা (বিষয়ভিত্তিক)-
১১টি। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- সাত মার্চ
শব্দের ডিনামাইট (বঙ্গবন্ধু সিরিজ), বিজ্ঞান কবিতা, প্রেমের বিজ্ঞান কবিতা, স্বাধীনতা মঙ্গলে, বিজ্ঞান সনেট। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয় নব্বই
দশকে। লেখালেখির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল স্মৃতি ফাউন্ডেশন-এর মহান বিজয়
দিবস-২০১১ সম্মাননা ও সাপ্তাহিক শারদীয়া কাব্যলোক বিশেষ সম্মাননা-২০১৩ পেয়েছেন। ঠিকানা:
এ-১ ও এ-২, বাণিজ্যবিতান সুপারমার্কেট, ইস্টকর্ণার, ২য়তলা, নীলক্ষেত, ঢাকা-১২০৫, বাংলাদেশ। ইমেইল- onupraskabita@gmail.com
rinakobi@yahoo.com ফোন:- 01674-336099
(অফিস)