অভিষেক ঘোষ
আকাশ বলেছিল তাই, আমি লিখি
আমার কোন নখত্র নেই আকাশ।তুমি বলেছিলে তাই, শুধু তোমাকে চিনি।
আমি দ্বিতীয় লাইন ভালো ভাবে লিখতে পারি না বলে ভেবেছি আর
লিখব না
প্রথম লাইনেই শেষ করে দেব গাছের পৃথিবী, কুরুলের মন, মাছির
মৃতদেহ
সজনে ডাটার রস ব্যথিত কুমীরের পিকনিক আর আমার আত্মবিশ্বাস।
যা কোনদিনই আমার একফোঁটা ছিল না বলেই তো লিখে লিখে দেখতাম
দোষ।
ঠিক কোথায় আমি ক্যবলা, ঠিক কোথায় আমি ছ্যবলা আর ঠিক কোথায়
কোথায়,
আমি ক্ষুদিরাম বোস।
ছাউনি
অর্ধেক বিকেল নিয়ে ফিরে এলে কলিকাতায়
অর্ধেক বিকেল পরে থাকতে পারে
অর্ধেক মন নিয়ে ফিরে এলে, লেখার
খাতায়
অর্ধেক জীবন পরে থাকে পাহাড়ে
অর্ধেক পাহাড় তার চেয়েও অর্ধেক বেশি কুয়াশায়
ঢেকেছে তোমার বসন্ত বাড়ি, হিমেল
দিন
আমি গুলিয়েছি সমুদ্র এই খাদের বইয়ের বাইরে
যখন ছিলে তুমি অনেকটাই আমার সাথে সেদিন
সেদিন যেন সেদিনের মত ফিরে আসে বার বার
যেভাবে পাখি ফিরে আসে সন্ধ্যে বাসায় থেমে
খড়কুটো তুলতে তুলতে অনেক অনেক ডিম
ভিজে যায় অহেতুক,
কোন বৃষ্টিতে না নেমে।
এটা তোমায় বলা কোন টেলিফোনের কথা নয়
হয়ত এই কান্না, যাকে মারব বলে আমি গলার
স্বর ট্রান্সফার করি
হয়ত এটা ফোন নয়,যাকে তুমি ধরবে আর ফেলে দেবে
অচিন পাহাড়ের নীচে
পাহাড়ের নীচে পড়লে তো ভালোই হয়,ভালো
সমতল লেগে থাকে বুকে,
আসলে
যে তোমায় মৃত ভাবে নি, সেই
কিন্তু ফিরে যায় তোমায় শুকে।
এখানে ভাল্লুক আসবে না,এখানে
আসবে না পথিকের পায়ে গড়িয়ে পরা রক্ত
এখানে জঙ্গল আসবে না এখানে আসবে গাছের পর গাছ হেরে যাওয়া
পাতা
এখানে নীরাবতা আসবে শুধু যাকে ধুয়ে সাফ করে দিলে কোলাহলের
ভালো
এখানে একটা মেয়ে আসবে একদিন,খুব
একটা তেমন না তাও,
যাকে ফিরিয়ে দিয়ে আলো
আবার পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে কুয়োর পাঁচিলে।
ঢুকতে দেওয়ার আগে
প্রথম প্রথম মুখের ছিটকিনি খুলতেই,বৃহৎ
খোলে না
শীতের রোদ থেকে পোয়ানো কুঁকড়ানো মুখের চামড়া।
পাতা থাকে মাটির উপরে,যেমন
পেতে রাখা হয় ঘাস
শিশিরের আলো দেখতে,প্রায়ই
রাত থেকে ছুটে যাই
আমরা
তেমনই দুপুর থেকে,এদিক ওদিক ঘুরে আসা হাওয়ার
দু কূল না গেলে,সে বইয়ে দিতে পারে না জ্বলত ধূপ
পাখি এসে ঠুকরে খায় এক চিলতে লাল দানার বহ্নি
শিখায় শিখায় আমি স্বীকার করি,প্রতন্ত
একরাশ বিদ্রূপ।
যাকে মন থেকে মুছে,এখন
বেঞ্ছির ইট বেরনো হাসিতে
দাগ লাগিয়ে ফিরেছি জামায়,
ক্ষতয় ঢাকা মাটির হাঁটু...
এসব ছিটকিনি আমি উত্তরের হাওয়া দেখলেই বন্ধ করে রাখি,
যেন আর গর্ত না করে সেই শুকনো ফাঁকা মাঠের কোনায়,
এক দৃষ্টে ঘুরতে থাকা,লাট্টু...
লাল কালির প্রতিমা
আর কিছুতেই সাহস হয় না তোমায় লেখা দেওয়ার।
মনে হয় লেখা পড়ে যেন কিছুই হবে না তোমার,
বলবে বর্ণ রেল ছুটে চলেছে অদেখা পথের পাশ দিয়ে
সীমান্ত কাশফুল ভেদ করে,নামিয়ে
রাখা আছে ভাবনা লড়াই
কিছুটাও থেমে গেলে আলোরাত্তিরে,আমরা
হেরে বাড়ি ফেরার পাত্র নই,
যেন দু তিনশো লাইন লিখেও,পাচ্ছও
না,
ভোরের গাছে বসে থাকা,
একলা চড়াই।