শর্মিষ্ঠা
ঘোষ
অ্যাটলাস
নেই কম্মে ব্যস্তবাগীশ
দিন
দু এক সিপে ঠোঁট ভরেছি
তোতে
যখন তখন নষ্ট কাজের ডাকে
ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ভাপ
তোর
অনেক দূরের ঘরের গন্ধ
তোর
টসটস মেঘ জলভারী অভিমান
ঠোঁট কাঁপলেই রেখায়
স্পষ্ট শোনা
নেই কারণে হরিণ দৌড়ে
ভুলি
সামনে পেলে ঢেউ ভাসি সেই
সময়
কোথায় ছোঁব আদর দাগের
সুখ
ভাবার আগেই হাতছাড়া সব
স্কোপ
তুই বেমালুম খুড়োর আজব
কল
সেও হয়তো আরেক রকম ভালো
একটু কমের আকর্ষণী ছুতোয়
পাওয়ার ইচ্ছে জড়িয়ে
বাঁধে তোকে
নতুন করে অ্যাটলাস খুঁজি
তোর
মুঠো
মুঠো খুলে দেখ পড়ে গেল
কিনা
সুসময় বলে যাকে ডাকো
আমিতো কখনো মুঠোই করিনি
হাত
আমিতো কখনো বাঁধিনি
কারোকে ভালোবাসি বলে মুঠোতে
কি করি ?
আজকাল কি ডানাও কাঁপছে ?
চোখ তো খেয়েছ আগেই
শিরদাঁড়া বেয়ে অসূয়া
নামছে ?
উড়াল দিয়েছ কবেই ...
আগমনী এল আপন খেয়ালে
আমিতো ভুলেই আছি
ছেঁড়া মেঘ চিঠি বয়ে নিয়ে
এল
বিস্মৃত স্মৃতি রাশি
আনন্দ হাটে আমি অনাহূত
শারদ হুজুগে ফাঁসি
যথারীতি
আশির নখেতে যেভাবে জড়ানো
তুমি বল তাকে কি করে
সরাই ?
পথ নেই ফেরার
এই তো কি অপূর্ব টলমল
হাঁটা ওই পথ এ আর যাচ্ছিনা
ভেবেও
মোটরনার্ভে ধুম মাতলামো , তাও সেই পথ এতটুকু
ভুলছিনা
কোনো গাছ নেই ছায়া নেই
কথা দেবে বলেনি পাখিটি
শুধু সেই টানে যেতে চাই
বারবার যা আমাকে অপমানে হেনেছে
সর্বজনীন
যুগলবন্দি থেকে ছিটকে যাবার পর কানামাছি বেশ চিত্তাকর্ষক বলে নিজের ওপর একটু
করুণা একটু ঘেন্না একটু সহানুভুতি একটু বিতৃষ্ণা এটসেটরা এটসেটরা বামাল সামাল করতে
করতে ইধার উধার ছত্রখান মন মর্জি মান হুশ কাছা কোঁচা মেরে বেশ শান্ত শিষ্ট
ভালমানুষ ভাবমূর্তিতে ফুল বেলপাতা ওঁ নম ওঁ নম করে আবার বেধড়ক আদর পেলে নিকটতম
অভীষ্ট জ্ঞানে আঁকড়ে ধরে আর একখানা ঝক্কাস ভুলের সমাধি রচনা করে বেশ নমকিন জলের
এপিটাফে এঁকে রাখি ঘামতেলের মুখ ... কেটে কেটে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিকেশ মিলিয়ে হাতে
থাকলো কানাকড়ি এই মাগ্যিগণ্ডার হাটে নাজেহাল হতে হতে দোষ চালাচালি পিরীত ঢলাঢলি
দেখতে দেখতে এপারের পানসি বোঝাই তো হল এবার তলা ফুটো কিনা খুঁজতে গিয়ে নখদর্পণে
ক্ষুধার রাজ্যপাট মনদর্পণে তিলোত্তমা বুদবুদ হাতের চেটোয় ঝুটো মুক্তোর প্রেমবাতিক
পায়ের পাতায় স্বেচ্ছা নিরুদ্দেশ ডেকে হেঁকে ক্ষণে ক্ষণে জানান দ্যায় ওরে এই আমি
সেই আমি নই আমি নই যাকে কেউ চেনে কেউ চিনেছিল কোনকালে... যখন কারো কাছে যাবার তাড়া
থাকে না আনসান বকি সময় নষ্ট করে আর ভান করতে থাকি শেয়ার করছি গুমনাম চরিত্র যেন
মকবুলরা এই জন্যই পায়রা ওড়ায় , ঘুড়িও
... লাটটু ছেড়ে লেত্তি যেমন ভারহীন সেই লিফট ওপরে ওঠার ব্যাখ্যা দিতে দিতে সিঁড়ি
নামক ব্যাপারটির গা ঘেঁষে জমা যতরাজ্যের নিরালম্ব ইনডিফারেন্স এক নিঃশ্বাসে জানান
দিতে দিতে বড় হয়ে যায় আমাদের সব্বার ছোটবেলা দূর দেশে বিয়ে হয়ে যায় পুতুলের মা
মাসির যেন ফ্রি ফ্লোইং এক্সট্রা আয়োডিন যুক্ত ... দুরন্ত অথচ রিজেকট হতে হতে কিছু
ইচ্ছে নিজের নামে চালাই না আর বদলে নিরুত্তাপ মুখোশে হ্যাপি হ্যালোউইন ডিয়ার বলে
এক জোড়াতালি মুখে তাকাই ছায়া ভাঙতে থাকে স্পষ্ট খসে পড়ে হ্যাপি গো লাকি পলেস্তারা
আবিষ্কার হয়ে যাই সত্যি সত্যি অনেসট দূরদর্শিতায় বোতাম হারানো প্রিয় জামার পকেটে
খুঁজে পাই পোস্তদানার ফল রেশমের গুটি লাকি ছক্কা বদ্রি পাখির নরম পালক কুড়নো ফুরনো
সিগারেট গোল্লা মার্কশিট অচল পয়সা এক জীবন আমার নাকি সর্বজনীন ...