দীপ্তনু
চৌধুরী
এ কেমন চাওয়া?
কথার খেয়ালে জড়িয়ে যেতে
যেতে
হয়তো ভুলেই গেছে যে,
বাস্তবিক কাঙ্খাসমূহের
কাছে
এই নিষ্কলুষ অনুভূতিটুকু
একদিন বিজিত হবে।
অনন্ত প্রেমের
পরিধিশূন্য বৃত্তের কেন্দ্রে পৌঁছুতেই
কেটে গেলো কত কাল এ
অনাকাঙ্খিত হৃদয়ের,
প্রেমের খনির পরশপাথর
তোমায় দেবে বলে একদিন .......
পবিত্র ভালোবাসার অর্ঘ্য
নিবেদন
ছুঁতে পারেনি কোনোদিন
তোমায়,
তুমি যে ক্রমাপসারী
.......
যৌবনজ্বালায় হারিয়ে গেলে
তুমি,
আসলে এক জীবনে কি আর
সবাই একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়?
বিচার
বহুদিন ধরে সযত্নে গড়ে
চলেছি দু'খানি হৃৎপিন্ড,
একটির প্রকোষ্ঠসমূহ গড়ছি
শুধু
' ইমোশন্স ' এর কোষ দিয়ে,
এর ধমনী - শিরায় বইছে
আবেগ - শোণিত,
তবু বাহ্য - রূপে একে
অতি সাধারণ একখানি বস্তু বলেই মনে হয়।
অপরটির গড়ন সম্পূর্ণ
বিপরীত,
এর প্রকোষ্ঠ গড়া হচ্ছে
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মণি - মুক্তো দিয়ে,
ধমনী - শিরায় এর বইছে ' ব্লু ব্লাড ',
বাহ্যরূপে এটিকে
কস্টলিয়েস্ট প্রোডাক্ট বললেও ভুল হবেনা বৈকি|
আমি তো কেবল নির্মাতা
.......
বিচারের সময় আসছে ঘনিয়ে ,
বিচারকেরা করবেন ' মূল্যের বিচার' |
অপেক্ষায় রয়েছি .......
কোনটি পাবে বিজয়ীর
শিরোপা?
নীরবতা
কাহিনীর ছলছল আঁখিপাতে
নিদ্রাহীন রজনীর
ছায়াসঙ্গী অশ্রুগ্রাসী নির্বাক পশ্চাৎ
এক ফোঁটা বিষ ঢেলে দেয়
মন্থিত ব্যথার স্বঘাতক
প্রস্তরীকৃত অন্তর খুঁড়ে,
জ্বলে - নিভে আলোয় ভাসা
ভাসা কথাদের
সযত্নে পাহারা দেয়
বাস্তব - প্রহরী - খদ্যোত|
বালিঘড়ির নিম্নার্ধ
ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পূর্বেই
অমৃতলোলুপ মুহূর্তদের
বুকে ছুরিকাঘাত করে
দ্বন্দ্বসংযোগী পিছুটান
.......
কথারা হেরে যায়
স্বপ্নখেকো বাস্তবের কাছে ||
জোছনাকে .......
ক্লান্ত নিশিপ্রহর
.......
জোছনাসিক্ত গলিপথ ধরে
হেঁটে চলে শশী|
নির্বাক অধরের
মৃদুকম্পনে
গগনস্পর্শী মূর্চ্ছনায়
একটি সুরের জীবনতরী চলেছে
প্রবাসী হৃদয়ের ঠিকানায়|
যদি পৌঁছে যায় , গান হবে একদিন|
নয়তো কথাবিরহে আবার জন্ম
নেবে সে
স্নিগ্ধ চাঁদের মায়াবী
হাসি থেকে .......