তৈমুর খান
ইচ্ছেগাছ
ইচ্ছেগাছ
বেড়ে উঠছে
অলীক
কুসুম সব ফুটছে ডালে ডালে
আর
পাতাগুলি ধ্বনি
বাতাসে
কানাকানি
বলে
যাচ্ছে আপন কাহিনি।
দু
একটি প্রেমের পাখি
করে
ডাকাডাকি
কাকে
ডাকে?
উদাসীন
চেয়ে দেখি!
পৃথিবীতে
রাত আসে
অনেক
গভীর রাত —
কারা
চেয়ে থাকে জানালার পাশে?
ইচ্ছেগাছ
স্তব্ধ হয়
কে যেন
বাজায় বাঁশি জলের ভাষায়!
জলের
মতন সহজ
পাখিটি
জলের কাছে আসে
হরিণটিও
নদীটি
সমুদ্রের কাছে যায়
নৌকাটিও
আমি
তোমার কাছে আসি
আমার
কাছে তুমিও
প্রতিটি
দিন রাত্রির কাছে যায়
দিনের
কাছে রাত্রিও
প্রতিটি
মৃত্যুর কাছে জন্ম আসে
জন্মের
কাছে মৃত্যুও
ভালোবাসা
আসে যায়
পাশাপাশি
ঘৃণাও
প্রশ্ন
কঠিন হোক যতও
জলের
মতন সহজ উত্তরও।
আমার
সামান্য তবে অসামান্য হবে
সামনাসামনি
আসতে চাই না
এই
মাটিতে বসেছি
আত্মপ্রকাশ
এখানেই
কিছুটা
নিভৃতি চেয়েছি
বাজনা
বাজছে আর আলোময় লীলা
কত
সরীসৃপ মানুষ হয়ে গেল
আমি
আজও মানুষ হলাম না !
মাঝি
নৌকা
আনো, ওপারে কাদের শয্যা?
নারীরা
শুয়েছে সব দীপ্ত আকাশ
আমি
জন্ম চেয়ে নেবো তাদের নিকটে
পুরোনো
বাতাস
অপর্ণা
ঘোষ, গার্হস্থ্য মন্ত্রগুলি
আজ
ভুলে গেছি
স্নেহের
কাঙাল এসে বসেছে দাওয়ায়
সান্ধ্যজ্বরে
যদিও কাঁপুনি
ব্যর্থ
হবে কি তবে এই বাঁচা?
দুয়ার
খোলো
আমি
তোমার পুরোনো বাতাস!
রাস্তা
রাস্তা
আমাদের নয়
অধিকার
নিয়ে কত ব্যাখ্যা পড়ে আছে
জন্মের
বুদ্বুদে আমরা আলো চেয়েছি
পাঠশালায়
বসেছি ছেঁড়া চট পেতে
গুরুমশাইয়ের
দল চলে গেছে
বিদ্যা
আসেনি
বোধিবৃক্ষে
কোনও কোনও শিকারি পাখি
বাসা বেঁধেছে
রাস্তা
দিয়ে হেঁটে গেছে ইতিহাস
সভ্যতার
নীল চশমা পরা মানুষেরা