অনুপম দাশশর্মা
ক্লিভেজ
ধুলোর পরাগে জন্ম নিয়েছে শরীরের
ভিন্ন আকাঙ্খা
চোখে ভেসে উঠছে পয়স্বিনী গাভীর ছবি
জমির আল ধরে হেঁটে যাচ্ছে এক
সদ্য স্নাতা বধূ
ঋতুর দাগে দাগে ভেসে এসেছে
দহনভাদ্রমাস
তুমি বলবে এ তো নষ্ট কালের ছোঁয়াচ
উষ্ণতা ছড়াচ্ছে সুচতুর শিরার খাঁজে
আসলে শরীরের ভিতরে গোপন লুকোচুরি
মুগ্ধ জলকণা হয়ে বয়ে চলে
রতিময় উন্মুক্ত ক্লিভেজে
দৃষ্টিফলনের পর
প্রেম কি প্রণয় না কি সরস কাম ?
বুঝিনি সেই বয়সে।
অযাচিত নরম হাতের ছোঁয়া দিতে
মালতীদি এসেছিল আমার একা ঘরে
ঝুঁকে পড়ে নিয়েছিল গলার মাপ
গড়া হবে উলের কাঁটায় মাফলার।
আলতো বুকের চাপ সেই প্রথম মালতীদির
অজান্তের উপহার।
তারপর কতবার তার ঘরে গিয়েছি
ছলেকৌশলে
বেকার জীবনের সে এক অদ্ভুত সময়যাপন
ঘোর সংসারি সে, গল্পে
বসিয়ে রাখত
প্রতিদিন দ্বিপ্রহরে।
একদিন। বৃষ্টি হয়ে উঠে এসেছিল জল
বারান্দায়
জলরবে নতুন শরীর দেখব বলে মালতীদির
ঘরে।
দেখি, এ
কোন মালতীদি! দেয়ালে মাথা রেখে
দাঁড়িয়ে কাঁদছে ডোরাকাটা এক বাঘ
ফোঁটা কেটে রক্ত ঝরছে নগ্ন
মালতীদির।
গ্রামে রটে গিয়েছিল চরিত্রের
অস্পষ্টতা
মুখে মুখে রসাল হল অজানা প্রেমিকের
ছায়া
মালতীদি এখন একটি বন্দিশিবিরের
বাসিন্দা
পাল্টে গেছে আমার যৌনতার
ইচ্ছেলিপি।
অধিকার
গাঢ় আকুতিভরা দুটি চোখ তোর
যেন তাকালেই সম্মোহিত করবি আমায়
এমন নীলাদ্র আহ্বান দেখেছিলাম
প্রতিদিন
ঐ দূর তারাধর্ষিত নীলিমায়।
এখন তুই ছড়িয়েছিস শহর-অরণ্যেদ
দিনান্তে দেখি জ্বলছিস জোনাকির মত
আমার অস্থিরতার বাঁকে বাঁকে।
শুধু একদিন শরীর নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি
তারপরেই তোর সঙ্গ পাওয়া হল নির্মম
দাবানল নিয়ে ঘুরি তোর উদ্দেশে
গোপন শিশ্নে রেখেছি আজও তোর
অধিকার।