বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

দেবাশিষ ঘোষ


দেবাশিষ ঘোষ

যাপন

মেদুর শরীরে নখের আদর,
পাদদেশে স্খলিত পাতার পোশাক |
বাতাসের মৃদু দংশনে
হিমছাপ ঠোঁট |
এখন আবেশ ক্লান্ত,
প্রতি কোষে চুম্বনের রেশ |
দুচোখে সুনীল আকাশ ;
দেয়ালের খুপরিতে ঘুম শুষে নেয়
ক্লান্ত মানুষ |
তাদের কবিতা, গান, উৎসব  দাও ;
মিলনের ঘন শ্বাসে উষ্ঞ হোক ফের চরাচর |
শিরশিরে হুহু এ সময়ে,
শতচিহ্ন দিয়ে  গেছে তোমার পুরুষ
তাকেই যাপন করো ও শীতবধূয়া |









সমুদ্র সফর

শুয়েছে যুগল দ্বীপ
সুগোল ও চন্দ্রিমায় ভরা
বিদ্যুৎ জেগেছে শত সহস্র নদীর বাঁকে বাঁকে
দু চোখে গভীর খাত
অবাক আলোয় চিকচিক
জাহাজ সফর করে দ্বীপ ভূমি
সুসফেন খাত
বাতাসে বাতাসে আর ঢেউয়ে ঢেউয়ে
উড়ে যাচ্ছে দু দুটি সফর
ভেসে উঠে পুনরায় ডুবে যাচ্ছে দু দুটি সওয়ারী
আকাশে ভাসছে চাঁদ
যতদূর চোখ যায় সমুদ্র বিস্তার
নোঙর নামছে শুধু তল নেই তল নেই কোথাও
ঝড়ের ঝাঁপটা এসে দ্বীপে আছড়ায়
পুরোটা সমুদ্র যেন উঠে আসে জাহাজের ডেকে
ঢেউয়ের মাথায় চড়ে ঢেউয়ের ভিতর ঢুকে পড়ে
অশ্বগতিতে পার হয়ে যায় গর্জন চল্লিশা
কেঁপে কেঁপে ওঠে জল
নোঙর খুঁজছে আরো গভীর গভীর
যেখানে বর্ষণ হয় আনন্দ মোচন
সমুদ্র গুটোয় ডানা কমে আসে ঢেউ
ঢেউয়ের পরম্পরায় ঢেউ ভাসে আর ডোবে









অতল তোমাকে চেয়ে

দুচোখে শান্ত নদী
ফেটে পড়ার অপেক্ষায় নীল।



দু দুটি পদ্ম বুকে
হাল্কা গোলাপী আভা ছুঁয়ে
বিস্ময়! বিস্ময় এই সুগোপন জ্বর আবিষ্কার
কতটা অতলে তুমি লুকিয়ে রেখেছো লাভাস্রোত?
এখন মেলেছো সবই আশ্বিনের রোদে জামা কাপড়ের মতো
কখনো দেখিনি আগে এভাবে জোয়ার খেলে
চুলের ডগায়, নাভিমূলে



দুচোখে নেশার ঘোর
টাইটানিকের মুখে তুমি আইসবার্গ
ভাঙন তো অনিবার্য
মাস্তুল উঁচিয়ে তবু অন্ধকার জলে
বিস্ময় ! বিস্ময় এই খেলা আবিষ্কার!
জাহাজটি ডুবে যায় অতলের খোঁজে
বিস্ময় বিস্মিত হয় ঝাঁকুনি ঝাঁকুনি
ফুটে ওঠা পদ্মঘ্রাণে, মণিপদ্মে হুম
মোলায়েম আলো জাগে তোমার আকাশে
বেগবান অশ্ব যেন তোলপাড় তোলে