শোভন মণ্ডল
পাখি
এপারে ছেয়ে আছে ছায়া
পাহাড়ের গায়ে লেগে সাদা মেঘ
হাওয়া বয়, নাচে
বুনোফুল
টিলার ওপরে অজানা পায়ের ছাপ
এই সব না-পাওয়া মনকে বোঝায়
তুমি আছো, অস্পষ্ট সুদূরে
এমন দিনে চুমুও পাখি হয়ে যায়
সতর্কতা
বিপদসীমার ওপরে বয়ে যাচ্ছে ঢেউ
অনন্ত ইচ্ছের হাত ধরে চলে যাচ্ছি
কে কোথায়!
জানা নেই
রাত হয়ে এলে জ্বলে যায় জোনাকির আলো
জেগে ওঠে পুরনো পিপাসা, আজও
সে সব জমিয়ে রাখছো গোপন দেরাজে
খোলা পোশাকের সুতোয় জড়িয়ে যাচ্ছে
নখ
সে তুমি যেমন পারো জারি রেখো
সতর্কতা
শুধু আমার এই ভুট্টার মতো উত্থিত লিঙ্গের
কাছে যেন
ক্ষুধানিবৃত্তির শস্য চেয়োনা ভুলেও !
শরীর
চুম্বন শেষ হলে গুটিয়ে যায় জিভ
নিভে আসে আগুন-শিখা
স্তনের বৃন্তগুলো লাল পাখি হয়ে ওঠে
এরপর রন্ধ্রে খেলা করে ইশারা-চমক
আর এইভাবে মনের চারপাশে
পরিক্রমা করে প্রিয় শরীর
সারারাত
পর্দা ঝুঁকে পড়ে
কাঁটার গায়ে রক্তের ছোঁয়াচ
আর তোমাকে বুঝিয়ে দেওয়া
দু'দন্ড জিরিয়ে নেওয়া
মানে
শুয়ে পড়া, চিৎ
তোমার সীৎকার সারারাত
আবহসঙ্গীত...
শরীর ঝরনা হয়ে ওঠে
সম্পৃক্ত যৌনতায় যে জন্ম নেয় সে কি
তবে ‘
সুন্দর’?
নগ্নিকার বেলাভূমিতে খেলা করে যে
ঢেউ
তার কী নাম দেবে বলো?
খোলা তরবারি চকচক করে
অচেনা বারান্দায় খেলে যায় নিরীহ
শালিক
পুরনো রুটিনে ছোঁয় রাতের আগুন
জল নামে, স্রোত
বয়, শরীর ঝরনা হয়ে
ওঠে
ধূপ জ্বলে
শরীর ধোঁয়া হয়ে যায়, ক্রমশ
পুরনো খেলা
সেই তো পুরনো আবেগ
রাগমোচনের দীর্ঘ পথচলা
খোলসের ভেতর থেকে উঁকি মারে সরীসৃপ
বেলা বয়ে যায় ভাঁজে ভাঁজে
আর কোন চোখাচোখি নেই
ঠোঁটের কোণ থেকে নেমে আসে তাপ
থার্মোমিটার জড়িয়ে যায়, জ্বরে
আদিম নীল, তবে তোমাকেই চাই
তারপর রাত গভীর হলে বিছানায়
দু'জনে যে যেভাবে পারি
প্রেম আগলাই