রত্নদীপা
দে ঘোষ
যৌনকবিতারা
ন্যাকা
ন্যাকা প্রেমগুলি বড্ড বিরক্তি দিচ্ছে। আরে ইয়ার! শরীর হল গিয়ে জিং থিং। কনভেনশনাল
কবিতা লিখে লিখে ক্লান্ত। ভালোবাসো আর ভালোবাসো বলে যতই আঁকাআকি করো না কেন। শেষ
অবধি অই শরীরেই তো আটকে থাকবে, জানি ...
তার
চেয়ে বরং কাশো জোরে। চটিসাহিত্যের পংক্তিগুলিকে ক্যাশ করো।
কাউন্টার
অব্ধি নিয়ে যাও। যে কোন হোটেলরুম মকশো করো। টকশো করো তোমার বারমুডা আর নীল টি ।
সেক্সের সময় নীল আমার পছন্দ। আমিও হাল্কা নীল ব্রোকেড ক্যাপরি। আরে বস , জানবে না কেউ। টেক ইট
ইজি। না না , কবজিতে ঘড়িটা থাক। খুলো না ... ওকে বাজতে
দাও। ও বন্ধ হবার আগে আমি বাজাতে শুরু করি
নিজেকে। তুমি কত সময় নাও?
আমি
কিন্তু শেষ হতে অনেক। আমাকে সইতে পারবে তো? বইতে পারবে আমাকে?
নাকি পরিশ্রান্ত তোমার পা দু' খানি গুটিয়ে
যাবে?আর তোমার শুশুবেড়াল? তার খবর কি?
.আড় ভাঙেনি এখনো? সে আবার সিং ভেঙে ধলভূম থেকে
সিংভুমে পৌঁছতে কাত হয়ে যাবে নাতো?
আমি
বাপু শক্তপোক্ত স্যাটিননারী। ঢিলেঢালা নই। আমাকে ভেতরে বলড্যান্সের আগে, শক্ত
করো। জমজমাট করো নিজেকে, তারপর আমাকে করো। ঘড়িটা বন্ধ হয়নি
এখনো ... টিক টিক ঠিক ঠিক ...
আগুন
চলছে ... উফফ ,
তুমি সেই ম্যাদামারা মিডিলক্লাস
মিনমিনে ঘেমো প্রেমিক! হরকদম আঁকছো
গ্রীকড্রামা। পয়ার ছন্দে অয়দিপাউস আর ইদিপাস কপচে যাচ্ছ সেই কখন থেকে।
অথচ
গ্রে-হাউন্ডের মত সরল আর সাধাসিধে একটা অর্গাজম মাড়াতে পারছ না ..
২
মাত্রই
তো তিনটি মিনিট
হে
বোধিপুরুষ
তার
মধ্যে আমাকে বুদ্ধি-ইজম দিতে পারো
এমন
বোধিলিংগ তোমার নেই
এমন
বিচি নেই
এমন
বিচি নেই তোমার বোধিফলে
যে
আমায় বেরিশৃঙ্গারে আতুপুতু কর্নেটো ঝরাতে পারে
যে
আমায় রসে-বশে ঘাসে-কার্তুজে করতে পারে ঘায়েল
৩
আপনাদের
বিশ্বাস হয় ?
সীতাকে
বাগে পেয়েও রাবন একবারও ধর্ষণ করেনি। মানতে পারেন?
অথবা
সীতা নিজেই আলোড়িত,
যৌনরস খসাতে অমন দুর্দান্ত পুরুষসিংহ
রাবনের
কাছে যায়নি ... বুকে হাত দিয়ে বলুন তো
বিশ্বাস
হয়?
আমার তো হয় না বিশ্বাস।
আফটার
অল সীতা একটি আতাফল আর রাবণ মারাত্মক তোতাপাখি
৪
কুকুরের
চোদাচুদি দেখতে দেখতে,
তোমার বেশ কামভাব হয়
ঠাকুরের যেমন নামভাব হত, ষোলটি
শাঁসে একাকার অমৃত
তফাত
একটাই
তোমার
লিংগ দিয়ে সাদা সাদা ফেনা বেরোয়
ঠাকুরের
বেরতো না। অথবা বেরতো। আমরা জানতে
পারিনি।
যতটা
জানি অমৃতসমান ঠাকুর উলংগ। নির্ভার নিঃসংকোচ দণ্ড।
আর
মা?
নগ্নজবা মহাকালীর নির্লজ্জ যোনি।
৫
বেশ্যাপাড়ায়
দেখেছি কালীমন্দির,
প্রথম
গুহাজল
নভোজল সাঁতলানো সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়
শুচি-অশুচির
গোখরো,
ইয়া বড়ো। আশ্চর্য বড়ো কালীমন্দিরের বোঁটাকক্ষ
নিয়েছি
টেনে প্রাণপণ ডাকসাইটে কেউটে-কদম। তীব্র চেখেছি দেবীর কানপাশা।
চুড়ি-হার-চূড়া-কানকো।
পরতে পরতে উলুধ্বনি।
প্রতিমা
নিরঞ্জনা,
শুনেছি এমনটাই নাকি বেশ্যাপাড়ায়, কালীমন্দিরের
কাঠামো
প্রতিটি
সন্ধ্যা ডবকা শূন্যবসনা। কাত্যায়নী কালী, আসর তলায় নিত্য আরাধনা
প্রতিরাতেই
জাগ্রতমূর্তি,
প্রহরে প্রহরে বাঁড়া-রতি হয়। তমসো মা জ্যোতির্গময়।