বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

চিরঞ্জীব হালদার


চিরঞ্জীব হালদার

সুড়ঙ্গ বা সু-রঙ্গ কথনমালা

অর্ন্তবাস খোলার পর দেখা গেল একটি কঙ্কাল
থরে থরে রতি রক্ত জমিনের নেই কোন আল।
একটি জমিনদার,খাড়া শিশ্নে খোঁজে উন্মাদিনী
নিটোল টিকালো বধু প্রতিমার কাছে নিত্য ঋণী।
পোষাকের " প "নেই মুখে তার না আছে আগল
তাকে তুমি কি বলিবে শঙখিনি খোল দেহখোল।
কেহ যদি লিখে ফেলে মৈথুনের রঙ্গ ও রস।
ষাটের নিটোল শরীর কতখানি হয়েছে অবশ।
প্রতিটি সঙ্গমের পর পূর্ণ চন্দ্র একা হেসেছিলো
সব সত্যি বর্ণ মিথ্যে আকাশটা সেই একই নীল ও।
সিগমুণ্ড দেখেছো কি কত নষ্ট মিলন দেখিয়াছো
নেভে আর জ্বলে শুধু শস্যদেহ ঝুটা কিংবা সাচ ও।
কালিদাস জানে ভালো আর জানে লোলিটা বান্ধবী
রতিসার চিত্রহার ইনিয়ে বিনিয়ে আঁকে অপগন্ড কবি।







হ্যাঁ সে অপানাকে কাকু ডাকতে পারে।

আপনি ভ্যাজাইনা মনোলগ পড়তে পড়তে
পিরামিড প্রদেশের ভিসা যাচনা করবেন।
যদি শুধু
জেগে থাকে মুগ্ধ গোলাপের বজরাই নাভিদেশ।
কখনো আচমন ভঙ্গি কখনও বা
উন্মুক্ত হেমা তিরতির ডেকে ওঠে
মাটির ভাঁড়াড়ে  একান্ত মৌনতার প্রলাপ কথনে।

ওই দেখ ইলিয়ট পার্ক
প্রতিটি মানুষবীজ কোয়ার আধারে অঙ্কুরিত
নিজস্ব নাভিতে।
ঠোকাঠুকির শব্দরূপ ধাতুরূপ সমাসবদ্ধ মনোলগ
পরিত্যক্ত যানের পিঙ্ক ডট কম।

এই যে লক্ষনরেখা আবহমান সত্য নয়
মিথ্যা যোনিবাসের যোগ্য নাগর।
এসো প্রেম যৌনতার তৃতীয় পুরুষে।






টিয়া পাখিটা ভাবতে থাকলো
তার ঠোঁট লাল না হয়ে অন্য কোন রঙ হলে
পুরুষ ডিম আর নারী ডিমের এর অনুপাতের
কোন ফারাক থাকতো কি।

এক্স আর ওয়াই এর মাঝে যে ভুট্টা ক্ষেত
সেখানে কোন প্রভোকিং শস্য মাথা দোলায়।

বৃষ্টিময়ী বারান্দাকে যৌন শরীর কল্পনা করা কালে
স্নায়ুতে কোন স্পন্দন অনুভব করেন।
তাহলে দেখবেন প্রথম সঙ্গম দৃশ্যের ভেতর
হেঁটে যাচ্ছেন পয়গম্বর।






ধরুন আপনি একজন চোস্ত হা ডু ডু খেলোয়ার।
যে কোন পজিসনে আপনি সাবলিল।

ধরুন আপনার উর্দ্ধতনের নাম জবা।
তার লাল টকটকে সেমিজ থেকে
এক তোতাপাখি রের হয়ে আপনার ধর্মযন্ত্রকে
মাঝে মাঝে গান শোনায়।
সে আপনাকে শিখিয়ে দেবে স্বমেহনের উলটো গতি থেকে
সাবলিল ব্রীড়বনত পুরুষমুদ্রা।

আপনি প্রস্তুত কিনা তা ম্যাসেজ মর্মরে
কতখানি লুকিয়ে রাখতে  চৌখস।

আজ জবা ম্যাডাম আপনার সরল রৈখিক
যোগ্যতার পরীক্ষা  নেবেন।
জানেন এই  দেহের সমস্ত আসবাব ক্রিয়ার নাম
অ্যান্টিচেম্বার।
যেখানে শুধু ঢোকার দরজায় কোন দারোয়ান থাকে না।








কিছু কিছু অসভ্য ভাবনার কাছে
আত্মপ্রতারিত হতে হতে একাকী মহুয়া গাছ।
ঘরোয়া মাদল তোমাকে বলবো আজ সে সব কাহিনি।
চেঁচিয়ে ওঠেনা কোনও অসহিষ্ণু পাখি।
খোলা আকাশের নিচে অকলঙ্ক মৈথুন।
জমে ওঠে তারাদের ফিস ফিস।
নগরের প্রতিটি দরজা জানে কোন টোকায়
কতখানি গুমরি সহবাস।
হ্লুদ কলকে ফুল
বীজে বীজে চারিয়ে দেয় মন্থর অবসাদ।
স্খলিত ঢোলদণ্ড
তুমিও বেজে ওঠো প্রকৃত পৌরুষে।
যে নারী শব্দ করে হাসে না কখনো 
সেও অর্গাজমে উচ্চনাদী।
তাকে কি জিজ্ঞেস করো কে তোমার গর্ভে ঢেলেছে
বপনের পূর্ণ ভঙ্গিমা।
একটি মৌলিক শব্দে ভরে উঠুক তোমার জাইগোট।