ঝুমা চৌধুরী
হৃৎপিন্ডের বিস্তারিত খবর
এসো প্রিয়
শিরা ধমনী বেয়ে,
বয়ে চলা শীতল রক্তস্রোতে
আগুন ধরাই আজ!
সেরে ফেলি বাসর উৎসবের সকল আচার
ঠোঁট বুক নাভি ছুঁয়ে
বেহায়া ঠোঁট খুঁজে নিক
দেহজ উপত্যকা
কালপুরুষ সাক্ষী রেখে
আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে
দামাল দাপট নামাক অবাধ্য কিছু ঢেউ
ভেঙে ফেলি শার্টের বোতাম
স্পর্ধা পৌঁছে দিই
অন্তর্বাসের হুক ছিঁড়ে
অন্তরের গভীরে
সদ্য স্নানে ভেজা চুল চোঁয়া জলে
ভিজে যাওয়া খোলা পিঠে
খেলে যাক গরম নিঃশ্বাস!!
অশান্ত হও প্রিয়
সংযমের বানানে কিঞ্চিৎ ভুল আসুক
শরীরের খাঁজে আঙুল বেয়ে কবিতা
নামুক
কিংবা গল্প লিখুক
পৌষের ভোরে
ঘামে ভেজা শব্দের গন্ধরা
চলো ইতিহাস হই......
অপেক্ষার অবসানে
মাইল পেরিয়ে
একদিন ভালোবাসার ঘনত্ব মেপে নেবো
মন ডিঙিয়ে
একদিন চষে নেবো শরীরী উপত্যকা
শীতলতায় আগুন ধরাবো
সুতোর বুনট তুচ্ছ করে
একদিন পৌঁছে যাবো শরীরের খাঁজে
খাঁজে
আগুন জ্বালিয়ে দেবো
দুটো ঠোঁট ছুঁয়ে থাকা নোনতা জিভে
সেই "অসম্ভব প্রেমের" দিব্বি,
যদি প্রশ্রয় দাও
অশরীরী প্রেমে মিশিয়ে দেবো শরীরী
গন্ধ আর রঙ
যদি আশ্রয় দাও,
গরম নিঃশ্বাসে আরো একটু উষ্ণতা
ঢেলে
শুষে নেবো ছুঁড়ে দেওয়া প্রতিটি
চুম্বন।
স্বপ্ন দিলাম
তুমি ঘুমিয়ে পড়লে না কি!! বেশ,
দেখো ঠিক তোমার বাঁদিক ঘেঁষে
বালিশ জড়িয়ে আমি!
তুমি দেখতে পাচ্ছো তো!
খোলা জানলা গলে ঝড়ের দাপটে
যে চুল গুলো কপাল চোখে ঠোঁটে
লেপ্টে আছে
আলতো করে সরিয়ে দাও আঙুল দিয়ে
হুউউউ ঠিক এই ভাবে....
পাশ ফিরে শুয়ে থাকা শরীরের পিঠে
হাত রাখো
ওঠা নামা নিশ্বাসের গতি মাপো
বুঝতে পারছো আমি আছি
আমি আছি কিন্তু!!
স্ট্রিট লাইট পরেছে আমার মুখে
বেশ লাগছে তাই না!
তুমি তাকিয়ে থাকো দৃষ্টি থামিয়ে
বৃষ্টি নামাও আমায় জুড়ে!
সামান্য ফাঁক হয়ে যাওয়া
ওপর গাল পাতো
উষ্ণতা নামবেই মন ভেদ করে
শিরদাঁড়া বেয়ে
রাত বলেছে দূরত্ব অতিক্রম করেনি
শরীর
ওরা সবাই বলেছে দূরত্ব অতিক্রম
করেনা শব্দ
অঙ্ক তখন মাইল মাপছে, এখনো
দূর
তুমিও কি ঘুমিয়ে গেলে!!
দেখো যোজন অতিক্রম করেছে বালিশ
ঘুমের ঘোরে রাত জাগছে পোষ্য কিছু
বায়না
আমরা কিন্তু পৌঁছে গেছি!
আমরা কিন্তু পৌঁছে গেছি
দিন পেরিয়ে রাত্রি ঠেলে মন কানাচে
আবাক হচ্ছো!!!
চৈত্র দুপুর ভিজবে ঘামে,
তাতো সবাই জানে..