অরুণ কুমার সরকার
সামাজিক প্রতিষ্ঠা
-
আত্মপরিচয়হীন ত্রিশঙ্কু জীবন
আদালতে ঝুলে থাকা নিষ্ঠার
পুষ্পাঞ্জলি
অবশেষে মায়ের কপাল ছুঁয়ে যায়
আকাঙ্ক্ষার সিঁদুর
আনন্দ-আবেগের হাসি-কান্নায় ভাসে
দেবী পূজার মাটি
কাজের তোড়ে এলোচুল
বাড়তি খদ্দের
দেবীপক্ষে দু’পয়সা
রোজগার দু’ঠোঁট ছুঁয়ে যায় বিজয়ীর হাসি
ছুঁৎমার্গ ধুয়ে দেয় অষ্টমীর ভোগ
খিচুড়ি পায়েসের পাত চাটে বাবুসমাজ
মায়ের বিদায়ে প্রথম মুঠো মুঠো
সিঁদুর খেলে নষ্ট শরীর
রঙিন উচ্ছ্বাসের বরণডালা
তাসাপার্টি ঢাক
হাসি-কান্নায় ভাসে বউবাজার
সোনাগাছি কালীঘাট....
ওঁদের অস্তিত্বকে রাঙিয়ে জলে মেশে
মা
শক্ত হয় পথ
সামাজিক প্রতিষ্ঠার...
বিনিময় প্রথা
বিনিময় প্রথা ভেঙে গেছে বলে
মনের গভীরে থরে থরে জমে ছিল
বিশ্বাস
আলো আঁধারি গলিপথ
বিধ্বস্ত কিশোরী যার দু’চোখের
কোলে ক্লান্তির নিদারুণ গর্ত
বয়স কতইবা আর হবে
এই বয়সেই....
তোমার খুব কষ্ট তাই না মেয়ে?
কৌতূহলের প্রশ্ন আছড়ে পড়তেই
শুষ্ক ঠোঁটের কোণ থেকে তিরবেগে
ছুটে আসে কথা
ওই, একটু আধটু
দুধ বেচে মদ কেনার মতো সুখ বেচে
কষ্ট কেনা
আসলে, অনেকের
ফেলে যাওয়া সব ক্লান্তিকে ভালোবেসে
আমরা বেঁচে থাকি
আমরা কষ্টের ফেরিওয়ালা
তাইতো তোমার কাছে এলাম কষ্ট নেবো
বলে
তুমি দেবে না আমায় একবুক কষ্ট?
মুহূর্তে আমার সমস্ত ইচ্ছেরা ইথারে
যায় ভেসে
দু’কানে বাতাস যেন বলে
যায়
বিনিময় প্রথা আজও আছে
কেবল চোখ খুলে দেখা...
অপরাধী মুখ
শরীরকেন্দ্রিক ভালোবাসায়
দুষ্টু দৃশ্যের প্রতিচ্ছবি
প্রেম হৃদয়চ্যুত হয়ে ছুঁয়ে যায় উরু
প্রান্তর
নীল দর্শনের ফেনিল ঢেউয়ে বেছানো
শরীর সুখের লাল কার্পেট
কৈশোরের খেলোয়াড়ি মনোভাব
অবৈধ বেড়ে ওঠা
উৎকণ্ঠায় দগ্ধ মুখ
দগদগে দাগ
কর্তব্যে অস্বীকার
মিডিয়ার ক্যামেরা ভাঙে মুখোশ
টি-শার্ট কিংবা রুমালে লজ্জা
নিবারণ
আইনি কষাঘাতে উন্মোচিত
অপরাধী মুখ।