বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

নাসির ওয়াদেন


নাসির ওয়াদেন
                
জীবন

জীবন জুড়িয়ে যায় অপ্রতুল বাসনা
কুপির আলোছায়া নিদারুণ জ্বালা
একটু হাসি একগুচ্ছ হাসনেহেনা

আরতির মধ্যে প্রেম-অপ্রেম মিশে আছে
সারাদিন উন্মুক্ত জোৎস্নার জলে
সাঁতার কাটা নাবিক
নগ্নতার শোকগাথা লেপ্টে আছে
চরিত্রের পরতে পরতে

জন্ম দিলেই বাবা হওয়া যায়?
দায়িত্ব আর কর্তব্য
দুয়ের মাঝামাঝি তবুও  জীবন
জীবিকা খোঁজে

বসন্ত এলে ফুল, পাতা কলরব করে
যৌনতার নির্বাক আলোড়ন
ফুলের সংসারে আদিম সুখ খোঁজে ।



           





যৌবনের নীল নকশা

যৌবন পাড়া বে-পাড়ায় ঘুরে পাতা কুড়োয়
রে রে করে ওঠে কামবিলাসী পুকুর

হৃদয়ের সাত রঙ রামধনুষের  আলোয়
রাঙা হয়ে ওঠে বেহায়াপনা

স্বর্গের ভূমিতে বিচরণ করছিল
ঋতম্বতা আর  আদম কুমার

পরিপূরক গাছের টাটকা গন্দম ফল
অধিক জ্ঞান টনিক, আদ্রক রস

আস্বাদন করতে গিয়ে অভিমান হয়েছে
কাপুরুষদের বক্ষব্যাধিতে

নিবিড় আলিঙ্গনে আগুন খিদে জ্বলে
ওঠে শীতল ঢেউরোদে

একটু ওম দিয়ে জাগিয়ে তুলতে তুলতেই
অনন্ত পুরুষ দুই প্রান্তে জ্বেলে যায় বাসনা

সুচারু প্রেম যৌবনের নীল নকশা তৈরি করে
মৃত্যুর পরোয়ানা বাতাসের সাথে লড়াই দিয়ে
   
একটা ঘন্টি বেজে উঠলে আলো ইঙ্গিত নিয়ে
সভ্যতার ডানা দিয়ে এক যুগ বাতাস করো।

           






খালি চোখে দেখছি

খালি চোখে দেখছি বলেই  দুই সম্পর্কের
মাঝখানে যে বিয়োজন পাহাড় প্রমাণ
বিভস্যতা চোখপীড়া হলুদ রঙের খেলা

দেহজ কামনা বাসনার উর্ধ্বে একটা
সত্যিকারের ভালোবাসা আছে
যার মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ নেই
আছে শুধুই অনন্তের শিহরণ

দুই দেহের বাইরে রয়েছে  এক গুপ্তকথা
যে কথা তুমি জানো না, আমিও না
এক অক্ষয় আমৃত্যু জীবনবোধ

শর্ত দিয়ে সম্মেলনে রাগ নেই, অনুরাগও
রাধা-কৃষ্ণ আমাদের পরকীয়া প্রেমের কবিতা
যে কবিতা শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক নয়
নিগূঢ় অভিব্যক্তি ,স্পর্শ বর্ণ, গন্ধগোত্র

রাধা-কৃষ্ণ যুগের প্রতীক, ঐকান্তিকতা রহস্য
যে রহস্যের ইতিহাস আমরা বিশ্বাসে আঁচলে