বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

শীলা বিশ্বাস


শীলা বিশ্বাস

বৃন্তচ্যুত ফুল হস্তিনী রাগে

(এক)

কিভাবে নুয়ে থাকি বলো। এত হলাহল পার হয়ে যেতে যেতে হ্লাদিনী বন্দরে নোঙর করেছে জাহাজ । জমে থাকা গ্লেসিয়ার ভেঙে পড়ে ঠুনকো অভিমানে। বিন্দু বিন্দু পরাগ ধ্বনি নীল স্পন্দনে। অনাবিল মেলে ধরা পৃথিবী কেন বলো মিলনেও বিষণ্ণতা খুটে খায় বিচ্ছেদের দানা। কম্পনঋতু বৃষ্টি আনবে।  বিদ্যুৎ রেখা কপালে রেখেছে শপথ। শরীরে শরীর ভাঙছে ও যে রূপের পাথর।







(দুই)

নাগাল পেতে চেয়ে অঞ্চলে ও মননে নিজ মেধায় রেখেছি পাঠ। ভেঙেছি গড়েছি বিপরীত মুদ্রায় বিকল্প ইচ্ছে নির্মাণে।ফলনের কিছু গোপনীয়তায় শরীর রেখেছি ছেনে। উলটে দিয়েছি স্থান ও কাল। পাত্র রাখিনি ঢাকা । আঙুলে ছোট ছোট নদী গতিপথ হারা। কি আশায় জেগে থাকে রোমের ভিতর জলহীন কূপগুলি। জিহ্বার নীচে জলসেচ গ্রন্থি খুলে দেয় সোহাগ পুকুর।







(তিন)

রতিছড়ায় উঠোন লেপে ক্ষেত্র করেছি প্রস্তুত। বিভাজিকা বেয়ে নামে অশ্বকেশর। বৃন্তচ্যুত ফুল হস্তিনী রাগে উল্কিসনেট গাঁথে। চাঁদঘুমে গেলে তার নিশিআঁখি পল্লব একাকার নাভিকুন্ডলিনী।মৎস্যগন্ধার জল ডুব ডুব দ্বাররক্ষী নন্দী কি করে জানে। রাত্রি আড়াল দিলো জোসনা কোলে টেনে। আড়ালের ফাঁকে প্রহরী তবুও প্রহর গোনে। কলমের ডগা লাঙলের ফলা শাস্ত্রে সূত্র লেখে।






আত্মরতির ঝুমুর

নিজেদের মতো ছেঁড়ে দিলে তারা উদ্দাম ও অবাধ্য

চৌকাঠে লজ্জা রেখে রঙ রূপ বদলায় সহজেই

তন্ত্রীর টানে শিরায় শিরায় শঙ্খ লেগে সানাই

লালায় সঁতে করে নেওয়া ঠোঁটে জ্বলে মেহনকোষ

আঙুলে আত্মরতির ঝুমুর দ্রিমিদ্রিমি জল ভরা মেঘে

পোশাকের নীচে ঢাকা সে আমার নেকুপুসু শরীরবোধ







বাস্তু ঘুঘু

খাঁজের ভিতর বসত করে কয় জনা আজও জানা হয়নি

একটি প্রত্যঙ্গ নয় সারা শরীর জুড়ে উষ্ণতা ভালোবাসি

অন্তর্বাস খুলে ফেলার পর আদুরি চোখ বুজে আসে

জ্বলন্ত ভলক্যানোর সামনে পেতে রাখি বৃন্তটিলা

গোপন দাগ ক্ষতে  ময়ূরপুচ্ছের প্রলেপ এঁকে

সুষুপ্তির মধ্যে নিয়ে যাক শিখর ছোঁয়া চলাচল

এসো বাস্তু ঘুঘু এসো সমর্পণ মেলো পালকবিহীন ডানা

যোনীবন্দরে তুলে দিয়ে দিঘল মাস্তুল লেখো নাম সাদা পালে

ঘর বাড়ি জুড়ে বৃষ্টি নামুক প্রবল ভিজে যাক শালগ্রাম শিলা