বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

জয়া চৌধুরী


জয়া চৌধুরী



যৌনতা নিয়ে লিখতে বললেই আমার মাথাটা ঘোরে
প্রায়ই বলি আজকাল মারাত্মক ভালবাসছি তোকে
ভালবাসছি যখন তবে তো তুই মুহূর্তের রানী হয়ে থাকছিস
গত বছরগুলো জুড়ে যে যে মুহূর্তগুলো ভালবাসাময় হয়েছিল
ততগুলি জুড়ে মালা গেঁথেছি অনন্তের। যৌনতাহীন কিভাবে হয় প্রেম!
বুকাইয়ের একটা গল্প পড়েছিলাম একজন মানুষ
গোটা জীবনে যতক্ষণ হেসেছে ততটুকুই তার আয়ুষ্কাল
এমনি বিচারে গুণতে গুণতে কেউ আড়াই কেউ ছাপ্পান্ন কিংবা
কারো এগারো বছর আয়ু ছিল কবরস্থানে
যতক্ষণ আমাদের যৌনতা আছে ততক্ষণ তোকে ভালবাসছি
তোর দারুণ কোন কবিতা পড়লে যে তীব্র সংরাগে মাখামাখি
হয়ে যায় মন সেও কী যৌনতা নয়! যে শীৎকার আমাকে
সাবালক করে দেয় মন্থনে সে মাহেন্দ্রক্ষণেও জানি তোকে ভালবাসছি আমি
সঙ্গীতে লেখায় চিৎকারে অভিমানে আদরে গভীর যৌনতায় বেঁধেছি তোকে  চিরকাল
সোনামন...









বিশেষ জায়গার তিলটি পছন্দ আমার
এমন কথা কতজন লিঙ্গ বা যোনি তোমাকে বলেছে এতাবৎ
অথচ তিলের সঙ্গে সঙ্গে তোমার চুলের ছাঁট
লেখার সময় আত্মমগ্ন স্বগতকথন কেমন স্বার্থপর একলাটি
নিপুণ হাতে বানানো মাংসের কষা
আদর খাওয়ার পরে তোমার আধখোলা দৃষ্টি ...
এসবই বারবার জাগিয়ে দেয় আমায়
দারুণ ডিপ্রেশানে সব কিছু লাথি মেরে বেরিয়ে যেতে চাইলে
মায়ের আঁচলে ঢেকে রাখি তোমাকে
সেসময় আমাদের অযৌন ভালবাসায় জন্ম নেয় পরম মুহূর্তেরা
শোনো সহবাসের পর আমাদের অনেকগুলো মুহূর্ত বেবি হবে
তাদের এক এক জনের নাম তোমার
এক একটা বইয়ের নামে রাখব









নাভি, স্তন, যৌনকেশ, দাঁত, তালু, ঠোঁট, ককুদ,
আঙুল কলম কী বোর্ড সব কিছুই
ল্যাবরেটারিতে ফেলে দেখলে যেন মোটরগাড়ির পার্টস
জুড়তে দক্ষ হাত লাগে নাভির সঙ্গে কলমকে জুড়ে দিয়ে
জিভ দিয়ে চুষে নিই সবখানি অপেক্ষা
তারপর সেতারের সিডি চালিয়ে মেজরাব পরে নিই আঙুলে
পিঠের ওপর দিয়ে জড়িয়ে রাখো গলা কিংবা
দুলতে থাকো যেন শিশুটি বাজতে থাকে বিলম্বিত বাজতে থাকে ঝালা
বাজতে থাকে সুরম্য কবিতার স্বর ক্রমে ছেয়ে ফেলে সব
ডুবে যাও অতলে নিলীন হতে হতে ভেতরে ফিসফিস করে শুধাও
-           আমাকে কখনও ছেড়ে যাবি না তো নূরজাহান?