শুভশ্রী সাহা
শরীরী ---
এমন করে দাঁড়ালে এসে কাছে
তোর বিভঙ্গ নষ্ট করে আমায়
মন্দ হতে ইচ্ছা করে বড়
নাভিমুলে আদর ছায় মেঘের মত
উপত্যকায় একটি দুটি ভাঁজ
অনেক দুরের পাহাড় আঁকে রোজ
বৃষ্টি জানে আছে সে চিরকাল
মেঘেদের বুকের ভেতর
স্তনের ডৌলে ছোটবেলার ডাক
কাঁচের ভেতর অস্পষ্ট এক কোল
নষ্ট হতে চাই, পারি
না আগের মত
মাথা রাখি তোর পায়ের উপর--
দেহপসারিনী
ক্লিভেজের ভাঁজে ঘামের দু একটি
ফোঁটা
তোমার রোদ চশমা ছুঁয়েছে নাকের তল
নন্দন রবীন্দ্র সদন পেরিয়ে তুমি
হাঁটছ
রেড রোড ছেড়ে বরাবর--
আজ দুপুরে কোনো ডাক আসেনি
চায়ের ভেতর পাউরুটি তে চুমুক
প্রয়োজন হলে টাকা কমিয়ে নেবে
এমন টাই ভেবেছ রেখেছ তুমি
মনের চেয়ে শরীর বড় দামী
নিটোল ত্বক পুরুষ্ট ঠোঁট, ভরন্ত
কোমর
বুকের ডাকে খদ্দের আসে ভালো
চাই এসব বাড়বাড়ন্ত
গতর
এ শহর এদের মন্দ বলেই ডাকে
কবির কলম শিল্পীর হাতের তার
বাজে এদের শরীর ছুঁয়েই নামে
পণ্য দেহ কি আসে যায় তাতে!