মতিউল ইসলাম
মাছওয়ালি
মাছের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইরানী
আতর,
মাছওয়ালির বটিতে শীতল দিঘি,
সেখানে খেলা করে লোভ লালসা আর
ছোট্ট কামনা,
কোমরে আঁচল, আঁচলে
আগুন।
পিকাসোর ক্যানভাসে আঁচড় টানার মতো
তার বটিতে আঁকা হয় ঘ্যাচাৎ ফু।
মুখের দিকে তাকাতেই
সমুদ্রের ঢেউ,
বুকে প্রলয় নৃত্য
আধখানা চাঁদ ভেংচি কাটে চোরা
দৃষ্টিকে।
কোমর আর নাভির মাঝে
ঠিক ধাবাটির মতো যেখানে প্রকাশ্য
আর অপ্রকাশ্যর মাঝে গোলাপজাম।
মাছ বটি আর মাছওয়ালি।
রহস্যময়ী
তোর ঊরুতে খেলা করে প্রজাপতি,
নাভিতে চরে নীল গাভী,
শরীর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় অন্ধকার আলো।
একটা আপেল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ভুলে
ছুটে চলে বুক থেকে নিতম্বে,
তার খিলখিলে স্পর্শে
হেসে উঠিস হিসহিস করে।
স্বর্গোদ্যানের ফল খেয়ে কেউ কেউ
নীতি পুলিশ,
আলো আর আঁধারের মাঝে তোকে নিয়ে
গোলাপী স্বপ্ন দেখে।
স্বপ্নেই শেষ নয়, জেগে
উঠতেই হয়,
বাস্তবের রুক্ষ জমিতে তখন
অশ্বডিম্ব চাষ।
তোকে ছুঁতেই আইসক্রিম,
ভিজে ভিজে আঠালো অনুভূতি।
এই শীতে আর স্নান নয় চুপটি করে
ঘুমিয়ে পড় কবিতার খাতায়।
রাতের গল্প
সোনালী বিকালে ডুব দিয়ে ভেসে ওঠা
গভীর রাত্রিতে,
বটগাছের ডালে বুড়ো প্যাঁচা
লালন ফকিরের গান গায়,
শিকারী শিকার হয়ে গেলেই
মাঝরাতে ক্যাম্প ফায়ার।
বিষন্নতার সাথে একটিপ সিঁদুর
মেশালে
যে ফুলশয্যার ছবি আঁকা হয়,
সেটা আর একটি রাতের গল্প।
রাতের পরশে খরগোশ ও বাঘ,
তার মায়াবী নীল চোখে
এক জঙ্গল দাবানল,
সূর্য উঠতেই ভোকাট্টা।
কিছু অলস বিকেল আর
নিদ্রাহীন ভোর দিয়ে যতোই
রহস্যময় রাত তৈরি করতে চাও না কেন,
জারণ বিজারণ শেষে
পড়ে থাকে কিছু পোড়া কাঠ।
রাতের গল্পগুলো ভীষণ ভাবে
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।