তাপসী লাহা
মন থেকে শরীর
আস্ত মনেরও তো শরীর আছে একটা।
নিষিদ্ধ ঘ্রাণ ছড়িয়ে ডাকে,
অডাকে সাড়া দেবে বুঝি।
শিহরণ মানে শীত ছোয়া
ফ্রিজের থেকে বেরিয়ে আসা হাত----
আর এই হাতের কুমন্ত্রণা অথবা ক্যালিবার,
দীর্ঘ হয়ে অপেক্ষারাও ইতর....
ইতরতম.... আরো ইতর।
শরবিদ্ধ মনের স্ক্র্যাপে রেখা
ফুঁটছে,
সেকেন্ডের নৃশংস প্রহার।
বেড়ে যাচ্ছে ভয়, আতঙ্ক, লাবডাব ভেসে গেছে
অন্য এক শরীরী বোলে।
শরীর ছেড়ে মন
আমাদের সাম্প্রতিকতমের ইতিহাসে
বিশ্বাস করে এসেছি কিছু আকারে।
বিধাতার খেয়াল যেভাবে ছুঁয়েছি
আজ
বিন্দু থেকে সিন্ধুর খোয়াবনামায়।
শুরু করি মুখ থেকে ---এতবার দেখার
পরে
আজ তোমার শরীরটাই মুখ হয়ে গেছে।
আর কত নিগুড় রহস্যের আধান থেকে
কামনাবৎ।
চোখ, নাক, ঠোটের আদল।
তাড়নার বিভাজিকায় ঈশ্বরীয় শিশুর মত
বসন্তের খেলাচ্ছলে সৃষ্টির
পুষ্পরাগ।
ঠিক যেভাবে একাত্ম হতে পারি নিয়তির
কাছে,
তার চেয়েও বেশি অনুগত সে মাংসল উপাসনায়।
তপস্যার প্রহর বাড়ছে আর
প্রাণপ্রতিষ্ঠায় এক এক ক্ষণে
জেগে ওঠে এতকালের নিশ্চল রোমকূপ।
অতর্কিতেই হড়হড় করে জলের তোড় ভাঙে
মরানদীর গতরে।
উপচে পড়ে খাঁজেভাজের এতকালের অভিমান।
মঙ্গলঘটের প্রতিটা পল্লব
ভক্তিমতি আমি ,
কোমলতম আঙুলে লেপন করি
দেবসৃষ্ট রতিমন্দিরের স্বেদ ও
স্রাব।
মহাকাব্য
দলা পাকিয়ে থাকা বিভ্রান্তির
সহোদরাদের আর অভিশাপ কি দিই,
বড়জোর মৃত্যুর কথা শোনা যায় ,
ছোঁয়াছুঁয়ির খেলাতে ভোকাট্টা ঘুড়ি
শোক মেখে হাসতে চায়।
তুমি এসবে নির্লিপ্ত থেকো অন্তত।
আমাদের অভিধানে জড়তা নাই।
বকুল ফুলের মালা অথবা সুরগন্ধা
কিছু
অশরীরী ছবির অবকাশ ছুড়ে ফেলি।
প্রতি দিনের উদ্বৃত্ত
রাতে ভাষার মত সাবলীল
হলে শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিছানার
পরিভাষ্যে।
আন্দোলিত উরুমুদ্রায়, শিশ্নের
পতনকোণে
হেরে যাওয়া, জিতে
পাওয়া জীবনের বিবর্তনে।
মিশে গেলে এক অঙ্গে সংস্কৃত ও প্রাকৃত,
মহাকাব্য গড়ে ওঠে অক্ষয়ী বল্মীক।