লক্ষ্মী নন্দী
ধরণীর আস্বাদ
পাপের বৈষম্যতা ছিড়ে
তোমার সাথে
রমিত রমণ সুখে
যতবার হয়েছি বুঁদ
ততবার -হয়েছি
মুগ্ধ আবিষ্ট।
হয়েছি স্বোপার্জিতা
প্রসক্ত নিঃশ্বাসে।
কতবার গোপনে গোপনে
তোমার ঐ প্রশস্ত বুকে
রেখেছি মাথা
পাঁজরে-পাঁজরে
ঘষেছি নাক
ডুবেছি ডুবডুব
গভীর অতলে।
অতীন্দ্রিয় ছুঁয়েছি
প্রবল গরিমায়
হয়েছি প্রমত্ত
শিহরিত উত্তাল
আহ্লাদে।
প্রশ্ন করেছি
বিহ্বল উদাস।
কিভাবে শিখেছ?
এমন তুমুল
ভালোবাসতে?
কিভাবে শিখেছ
এত, তরল বিলাসিতা?
কি ভাবে শিখেছ
দিতে ধরণীর এই
আস্বাদ।
কিভাবে শিখেছ??
কোথায় শিখেছ?
এমন পরম চরম
রমান্টিক আত্তীকরণ?
তোমার ----------
প্রমিত স্রুত শরীরে
আলিঙ্গিত হতে হতে
বারবার বলছি
আমি তোমারি।
প্রেম আমার
তুমি আমার প্রিয় নাম
প্রিয় শরীর, প্রিয়
অনুভব।
তুমি এলে নিকষ
অন্ধকারে কোজাগরী
হয়ে ওঠে আমার
উদাসী মন।
প্রতি রাত সকলের
অলক্ষ্যে তোমার শরীরে
শরীর মিলিয়ে
ঘনঘন নিঃশ্বাস জুড়াই।
১৪"×"১৪ স্কয়ার ফিটের
জানালা দরজা বন্ধ ঘরে
দু-জনেই হয়ে উঠি
নিবিড় স্থাপত্য
দুজনেই হয়ে উঠি
বিভোর মধ্যরাত।
পুলকিত শিহরণ
আজও তুমি এলে সিক্ত হয়ে
উঠি আমি।
মনে পড়ে আহা
তোমার সাথে কোতদিন
নিঃসংকোচে অনর্গল
মেতেছি প্রবল উচ্ছ্বাস।
কতদিন তোমার
উথল চুম্বনে হয়েছি
নিপাতনে সিদ্ধ।
তোমার সাথে
মিলনের পেলবতায়
এক অদ্ভুদ আত্মহারা
আছে। আছে নিষ্পাপ
নিখাদ বিশ্বাসী
তৃপ্তির আহ্লাদ।
তুমি ছাড়া কেউ কখনও
এভাবে ভেজাতে পারেনি
আমায়। আমার অঙ্গে
বারে বারে এভাবে
নামাতে পারেনি প্লাবন।
চুম্বনে চুম্বনে পারেনি
করে দিতে উন্মাদ।
কতদিন বিছানায়
বহন করেছি তোমার
দীর্ঘ ফূর্তির উত্তাপ শিহরণ।
কিন্তু তোমার
অনুপস্থিতিতে একটা
প্রশ্ন জাগে। আসলে
মানুষতো প্রশ্নময়।
তাই এই জিজ্ঞাসা
তুমি কি বহুগামি?