দেবযানী বসু
যোনিমুদ্রায় জাগো
বালুতিরে পঞ্ছি উড়াল চেয়েছিলে।
ওড়না ওড়ানোর পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র নগ্নতার ক্লাস শেষে ডেকেছে তখন। অমলিন সাদা
শিশির রাগে অববাহিকা ধুয়ে যাচ্ছে। কি করে যাই... যাবতীয় অন্তর্বাসে পিঁপড়ে
লেগেছে। জীবন বয়ে চলা যোনির হাজার লজিক্যাল ফ্যালাসি। তুমি সাঁতার দিতে দিতে
কিছুটা শ্যাওলা গিলে ফেলেছ। বালুতিরে তোমার অশিবলিঙ্গ গড়ি। লাল কাঁকড়ার দল আমার
অসংখ্য স্তন পিঠে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মোহনা বরাবর। মোহনার অনামিকা সন্নিবেশ ছিদ্র
খুঁজে নেবে। ছিদ্র তৈরি করে নেবে। যোনিমুদ্রায় জাগো।
লিলিসুঘ্রাণ
তোমার মডেল নারীরা এতক্ষণে তাদের
নাইটি থেকে বাষ্প ছড়াল। ঘরে খুব লিলি সুঘ্রাণ। পিকাসোর ধামসাধামসির চলচ্ছবি আঁকি
রোজ। আমারও থাকে তর্জনীতোলা সালভাদর দালি। ছন্দছান্দসে ঘোরাফেরা করে। শাসন করে
তাড়ায় শসাদের। ঢেউতোলা দুধের স্রোতে সকালের রেলগাড়ি সব্জি ধুয়ে নেয়। স্টেশন
পেরিয়ে গিয়ে থামে। নানান রঙের মাশরুম থেকে আমাদের কামেচ্ছা গিটারকে উপহার দেয়
আঙুলের পরমতা। রয়ে যায় আঙুল পুরে দিয়ে যুগ যুগ ধরে সস্তার ছাতা সারাতে ব্যস্ত
মানুষ।
মূর্ছনা
উইথড্রয়ালের ভয়াল ডাইনোসর
প্রান্তর। চিত্রছন্দে জাগে অভয়ারণ্য। তৎতেইতাহা কোমরছাপানো বন্যা। পুরুষ্টু পাছার
স্বাদ নিতে কমেন্ট বক্স ভেঙে প্রজাপতি উড়ে যায়। প্রীতম বলেছিল এই বেঁচে থাকা সিম
সব্জির ঝুড়িতে বিচি ঢাকা দিয়ে রাখা। পায়রাবোল। তার ক্ষণে ক্ষণে চেপে পড়াপড়ি।
যোনির সর্বনাশ আর লিঙ্গের পৌষমাস এ প্রবাদ ভেঙে পাশার ভিতর কীট আমি রেখেছি। খেলার
লাঠি অনেক ডবকা নদী পেরোয় এখন। আমাদের পাহারা দেয় চিরুনি আর পেন্সিলের ঢাকা।
হাতেকলমে চলে আসছে শিক্ষা কফির সফেন রাগরস। মূর্ছনা ফিরে আসার আগে পড়ে আছে
অপেক্ষার জেদ।